বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অর্থের অভাবে ধুঁকছে রাজ্যের বহু প্রাথমিক বিদ্যালয় (Primary Schools)। চক ডাস্টার, রোজকার কাজের কাগজপত্র, ছাত্রছাত্রীদের হাজিরার খাতা কীভাবে কেনা হবে সেই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ। সেই সঙ্গেই অনেকে আবার পড়ুয়াদের রেজাল্ট কীভাবে দেওয়া হবে তাও ভাবাচ্ছে অনেককে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (Primary Schools) ‘অভাব‘ নিয়ে কী বলছেন শিক্ষামন্ত্রী?
সম্প্রতি শিক্ষা দফতরের (School Education Department) তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলিকে কম্পোজিট গ্রান্ট দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির ‘কপাল’ খোলেনি। প্রাথমিক শিক্ষকদের কথায়, প্রাথমিক স্কুলগুলির ক্ষেত্রেই এই গ্রান্টের সবচেয়ে বেশি দরকার।
তাঁদের কথায়, মাধ্যমিক অথবা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের থেকে বার্ষিক ২৪০ টাকা করে বেতন নেওয়া হয়। সেই বেতন নিয়ে একটি তহবিল বানানো যায়। যা দিয়ে স্কুলের প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী অন্তত কেনা যায়। তবে প্রাথমিক স্কুলের (Primary Schools) ক্ষেত্রে বেতনের কোনও ব্যাপার নেই। প্রাক্ প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি অবধি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়াশোনা হয়। ফলে যদি কম্পোজিট গ্রান্ট না আসে তাহলে বিদ্যালয় চালানো মুশকিল হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ জানুয়ারিতে মিলতে পারে সুখবর! কত শতাংশ DA বাড়বে? নববর্ষের আগেই রইল হাতেগরম হিসেব
প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ বলেন, কম্পোজিট গ্রান্ট (Composite Grant) না আসায় বহু বিদ্যালয়ে যথা সময়ে বিদ্যুতের বিল মেটানো যাচ্ছে না। এখনও অবধি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা হলেও বিদ্যুৎ দফতর থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এছাড়া কোনও বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের হাজিরার খাতা কিনতে সমস্যা দেখা দিয়েছে, কোথায় আবার স্কুলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিনতে অসুবিধা হচ্ছে।
হাওড়ার আমতার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (Primary Schools) প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘এখন বছরে ৩ বার ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন হয়। সবকটি মূল্যায়ন একসঙ্গে করে বছরের শেষে ফাইনাল রেজাল্ট দেওয়া হয়। আমাদের স্কুলের ভাঁড়ার তো ফাঁকা। পড়ুয়াদের কীভাবে তাহলে রেজাল্ট দেওয়া হবে? শিক্ষকদের নিজের খরচে কিনে দেওয়া ছাড়া রাস্তা নেই। অথচ বহু শিক্ষকই নিজেদের টাকা খরচ করে সেটা দিতে চাইবেন না। সব মিলিয়ে বছর শেষে রেজাল্ট দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে’।
এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে কম্পোজিট গ্রান্ট দেয়। রাজ্য তাদের ভাগের কম্পোজিট গ্রান্টের আংশিক দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই দেয়নি। রাজ্য তাদের ভাগের বাকি অংশটিও দেওয়ার কথা বিবেচনা করে দেখবে’।