বাংলাহান্ট ডেস্ক : দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) নামখানা ব্লকে দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টার পড়ল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী নামখানা ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও নামখানা ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণী-মৎস্যকর্মাদক্ষ অতনু কুমার দাস সহ নামখানা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ধীরেন কুমার দাস ও প্রাক্তন জেলা পরিষদ অখিলেশ দাসের নামে দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টার লাগিয়েছেন।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ,
নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণী ও মৎস্যকর্মাধ্যক্ষ ইয়াশ ঝরের পর গরু – ছাগলের জন্য সরকারি অনুদানের ত্রিশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও, নামখানা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক দাস প্রাইমারি গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে মৌসুমী, হরিপুর, শিবরামপুর, বকখালি সহ একাধিক জায়গা থেকে অসংখ্য যুবক-যুবতীর কাছ থেকে টাকা তুলেছেন।
স্থানীয় বিজেপি নেতা সাগর মন্ডল বলেছেন, আমরা বহুদিন ধরেই বলছি, শুধু পার্থ-অর্পিতা কলকাতায় নয়, নামখানা ব্লকেও ছড়িয়ে আছে। এদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত চাই। ইতিমধ্যেই চন্দনপিরিতে জেলা পরিষদের সদস্য বন্নিবন্যা করের দুর্নীতি সামনে এসেছে। তৃণমূল দল সম্পূর্ণ দুর্নীতিগ্রস্ত। এরা এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করছে। ডিএ দিতে পারছে না, অথচ চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে।
তৃণমূলের (Trinamool Congress) এই নেতাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কাকদ্বীপ আদালতে। পোস্টার প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা ধীরেন কুমার দাস জানিয়েছেন, এই পোস্টারের সত্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন আছে। এই পোস্টারের কারোর নাম নেই। কিছু মানুষ হয়তো অন্য কোনও কারোর নির্দেশ এই কাজ করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কেউ কেউ অপচেষ্টা করছে।
এই বিষয়ে বলতে গিয়ে যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক দাস বলেছেন, এগুলো বিজেপির অপচেষ্টা। এইভাবে তারা তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে পারবে না। দলের নাম না উল্লেখ করে বিজেপি যেভাবে নামখানা ব্লকের মানুষের নামে পোস্টার দিচ্ছে তাতে কিছুই লাভ হবে না। ওরা যতই কুৎসা করবে ততই তৃণমূল আরো শক্তিশালী হবে।