যোগী রাজ্যেও ভাঙন ধরাবে তৃণমূল! বিজেপির ছয় সাংসদ নাম লেখাতে পারেন ঘাসফুল শিবিরে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমান ভারতীয় রাজনীতিতে চলছে দলবদলের মরসুম। এবার সেই দলবদলের হাওয়া লাগল গান্ধী পরিবারে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) যোগদান করতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের দুই সদস্য তথা উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিজেপির সাংসদ (MP) বরুণ গান্ধী ও মানেকা গান্ধী।

বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সাথে “সাপে নেউলের” সম্পর্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে বরুণ ও মানেকার। সূত্রের খবর তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে সম্প্রতি তাদের সম্পর্ক মজবুত হয়েছে। দলবদল নিয়ে রীতিমতো তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তারা। এমনকি আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট দেবেন বলে স্থির করেছেন মা ও ছেলে। সূত্রের খবর, এই বিষয়টিতেও প্রভাব রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির সাথে সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে গান্ধী পরিবারের এই সদস্যদের। মা মানেকা গান্ধী খুব একটা মুখ না খুললেও বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বরুণ গান্ধী। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রকাশ্য জনসভা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করতে শোনা যায় বরুণের মুখে। এর ফলে ক্রমশ দলে কোণঠাসা হতে শুরু করেন তিনি।তাই নতুন ভাবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে ইচ্ছুক বরুণ ও মানেকা গান্ধী।

এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে জানতে চাওয়া হলে কেউই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সাংসদ বরুণ গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন।তবে মুখ খুলতে নারাজ তারা। তারা চাননা এই মুহূর্তেই কোনরকম প্রকাশ্যে আলোচনা হোক।

তবে শুধু বরুণ বা মানেকা গান্ধীই নয়, বাংলাতেও এবার দলবদলের জল্পনা রটেছে। গুঞ্জন উঠেছে যে, বাংলার ৪ জন বিজেপি সাংসদ এবার তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। এর আগে অর্জুন সিং ও বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। এবার আরও ৪ জন সাংসদ তৃণমূলে গেলে বিজেপির সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ১২। যা গেরুয়া শিবিরের জন্য বড়সড় অশনি সংকেত।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর