বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড ইন্ডাস্ট্রির এক বিস্ময়ের নাম দিব্যা ভারতী (Divya Bharti)। সে সময়কার সবথেকে সুন্দরী এবং সফল অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। উল্কাগতিতে তাঁর উত্থান হয়েছিল। আবার তেমনি একদিন ঝড়ের মতো এসে পৌঁছায় তাঁর মৃত্যু সংবাদ। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই শেষ হয়ে যায় দিব্যা ভারতীর জীবন কাহিনি। কিন্তু ওই বয়সেই তিনি যে কতটা মমতাময়ী ছিলেন তা বোঝা যায় বরুণ ধাওয়ানের (Varun Dhawan) এক স্মৃতিতে।
পরিচালক ডেভিড ধাওয়ানের ছোট ছেলে বরুণ। ফিল্মি পরিবার হওয়ায় ছোট্ট থেকেই অভিনেতা অভিনেত্রীদের দেখে, সেটের মধ্যে থেকে বড় হয়েছেন তিনি। দিব্যা ভারতীর সঙ্গেও তাঁর একটি ছোটবেলার স্মৃতি আছে। ২০১৯ সালে একটি সাক্ষাৎকারে সেকথা জানিয়েছিলেন অভিনেতা।
ডেভিড ধাওয়ান পরিচালিত ‘শোলা অউর শবনম’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন দিব্যা। তখন বরুণ চার বছরের এক শিশু। খিদের চোটে কাঁদছিলেন তিনি। দিব্যা ভারতীর চোখে পড়তেই তড়িঘড়ি একটি ডিমের অমলেট বানিয়ে ছোট্ট বরুণকে খেতে দিয়েছিলেন তিনি। সেকথা স্মরণ করে বরুণ আফশোস করেন, বড় হয়ে দিব্যা ভারতীর সঙ্গে অভিনয় করার ইচ্ছাটা অপূর্ণই থেকে গেল তাঁর।
হিন্দিতে দিব্যা ভারতীর প্রথম ছবি ‘বিশ্বাতমা’। সেটা সাল ১৯৯২। শুরু করতে না করতেই ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। একসঙ্গে ১৪ টি ছবিতেও সাক্ষর করে দিয়েছিলেন! কেরিয়ারের শীর্ষে থাকার সময় মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতেও বসে পড়েন তিনি। বয়সে ৮ বছরের বড় সাজিদের প্রতি তাঁর প্রেম এতটাই গভীর ছিল যে হিন্দু ধর্ম বদলে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতেও দুবার ভাবেননি দিব্যা।
সেই বিয়ের মাত্র ১১ মাস পরেই আসে সেই মর্মান্তিক দুঃসংবাদ। প্রয়াত হয়েছেন দিব্যা ভারতী। শোনা যায়, পাঁচ তলা থেকে নীচে পড়ে গিয়ে মারা যান তিনি। কিন্তু এমন সফল অভিনেত্রীর এমন অকালমৃত্যু অনেক সন্দেহের প্রশ্নচিহ্ন তুলেছিল। পুলিস তদন্তও করেছিল। কিন্তু কোনো প্রমাণ না মেলায় ১৯৯৮ সালে বন্ধ হয়ে যায় তদন্ত। স্মৃতির অতলেই তলিয়ে যান দিব্যা ভারতী।