বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্পূর্ণ স্বদেশী প্রযুক্তিতে বানানো বরুণাস্ত্র টরপিডো (Torpedo Varunastra) চার মাসের মধ্যে ভারতীয় নৌসেনায় যুক্ত হতে চলেছে। ৪০ কিমি পর্যন্ত যেকোন সাবমেরিনকে ধ্বংস করতে সক্ষম এই বরুণাস্ত্র এর গতি ৭৪ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এই ভারতীয় টরপিডো ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজ আর সিন্ধু ক্লাসের সাবমেরিনে যুক্ত করা হবে।নৌসেনা ১১৮৭ কোটি টাকা দিয়ে ৬৩ টি টরপিডো অর্ডার দিয়েছে, এর মধ্যে জাহাজ আর সাবমেরিন থেকে ফায়ার করা দুই প্রকারেরই টরপিডো থাকবে। টরপিডো যেকোন সাবমেরিন আর জাহাজকে ধ্বংস করার জন্য সবথেকে মোক্ষম হাতিয়ার।
বরুণাস্ত্র এর ওজন প্রায় দেড় টন। এর মধ্যে ২৫০ কেজির ওয়ারহেড থাকবে, আর সেগুলোর মধ্যে হাই এক্সপ্লোসিভ থাকবে। এর মধ্যে থাকা Transducer হামলাকে আরও মারক বানায়, এর ফলে যেকোন সাবমেরিনে উপর অথবা নীচ দুই দিক থেকেই হামলা করা যেতে পারে। এই টরপিডোতে জিপিএস লকহিড থাকবে, এর ফলে এর নিশানা একদম অভেদ্য হবে।
বরুণাস্ত্র কলকাতা ক্লাস, রাজপুত ক্লাস আর ডেলহি ক্লাস ডেসটয়ার্স ছাড়াও কমোডোর ক্লাস করভেটেস আর তলওয়ার ক্লাস ফ্রিগটেসেও লাগানো হবে। ভারতীয় নৌসেনার সাবমেরিনের শিরদাঁড়া বলে পরিচিত সিন্ধু ক্লাস সাবমেরিনেও এই মারক টরপিডো লাগানো হবে। এখনো পর্যন্ত ভারতীয় নৌসেনা বিদেশ থেকে কেনা টরপিডো ব্যবহার করছে। ভারতীয় সেনায় এখন সিন্ধু ক্লাসের ৯ টি আর শিশুমার ক্লাসের সাবমেরিন ছাড়াও রাশিয়া থেকে লিজে নেওয়া নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আইএনএস চক্র আছে।
স্বদেশী নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আইএনএস আরিহান্ট আর স্বদেশী প্রচলিত সাবমেরিন আইএনএস কলবরী আর খান্ডেরিও নৌসেনায় যুক্ত হয়েছে, কিন্তু ভারতীয় নৌসেনার সাবমেরিন ১৮ টি হলেও চীনের ৭০ এর বেশি সাবমেরিনের কাছে ভারতের সাবমেরিনের সংখ্যা অনেক কম। আর এর জন্য শত্রু সাবমেরিনের মোকাবিলা করার জন্য টরপিডো সবথেকে ভরসার হাতিয়ার।