বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের (Yaas Cyclone) কারণে প্রশাসনের তরফ থেকেই চারিদিকে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল। বহু মানুষকে ঝড় আসার আগেই সেইসব ত্রাণ শিবিরে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। খাবার, জল, আলো সবই বন্দোবস্ত করা হয়েছিল সেই শিবিরগুলোতে। তবে কয়েকটি জায়গা থেকে প্রাথমিক সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আর এরই মধ্যে ত্রাণ শিবিরে নিরামিষ খাবার থাকায় ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে বাসন্তী থানার অন্তর্গত রানীগড় এসএসকেএম স্কুলে।
সকাল সকাল বাসন্তীর ওই ত্রাণ শিবিরে খাবার দেওয়া হয়েছিল। খাবারের মেনুতে ছিল নিরামিষ খিচুড়ি। আর সেই দেখেই ক্ষেপে যান একদল মানুষ। একাংশ অভিযোগ করে বলেন, তিনবেলা মাছ-মাংস রান্না করে খাওয়াতে হবে। এসব খাবার খাওয়া যায়না। আরেকদল বলে, দুর্যোগের দিনে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে, পেট ভরানোর জন্য খাবার দিচ্ছে। যা দিচ্ছে সেটাই খেয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। এই কথা বলার পরই অভিযোগকারীরা ক্ষেপে যায়।
অভিযোগকারীরা ক্ষেপে যাওয়ার পর দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়, সেই বচসা থেকে মামলা হাতাহাতির দিকে চলে যায়। হাতাহাতিতে তিনজন আহত হয়েছেন, তাঁদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রাজ্জাক লস্কর, শাহজাহান সেখ, কালাম শেখ ও আমিন উদ্দিন লস্কররা ত্রাণ শিবিরে তাঁদের তিন বেলাই মাছ-মাংস রান্না করে খাওয়ানোর দাবি করে। এরপর তাঁদের এই দাবির বিরোধিতা করে আখতার শেখ, জামীর আলি আর উমির আলিরা। তাঁরা বলে, যা দিচ্ছে তাই খেয়ে সন্তুষ্ট থাক। এখানে থাকতে দিচ্ছে, খেতে দিচ্ছ এটাই আমাদের কাছে অনেক।
উমির আলিরা এই কথা বলার পরেই আমিষ পক্ষ তাঁদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের ইট ছুঁড়ে মারা হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর তাঁদের মারধোরও করা হয়, এবং মার খেয়ে নিরামিষ সমর্থকরা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁদের উপর ছুরি নিয়ে হামলা করে আমিষ পক্ষরা। ত্রাণ শিবিরে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে নিরামিষ সমর্থকরা। এরপর তাঁদের বাসন্তী ব্লকের গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।