বাংলাহান্ট ডেস্ক : নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই উদ্বোধন করা হয়েছিল রাম মন্দির (Ram Mandir)। অযোধ্যায় (Ayodhya) রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একেবারে ঝাঁ-চকচকে সেই রাম মন্দিরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা দেখলে অবাক হতে হবে আপনাদের। বর্ষাকাল আসতেই ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল। রামলালার গর্ভগৃহ ভরে যাচ্ছে বৃষ্টির জলে। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে, শেষমেষ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে টর্চ লাইট জেলে রামলালার আরতি করতে হচ্ছে।
তবে কি এবার রাম মন্দিরের দরজা বন্ধ হতে চলেছে দর্শনার্থীদের জন্য? অন্তত সেখানকার পুরোহিত তেমনটাই জানালেন। প্রতিদিন যদি বৃষ্টির জলে মন্দিরের গর্ভগৃহ ভরে যায়, তবে মন্দিরে দরজা বন্ধ করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। অযোধ্যার রামলালার মন্দিরের পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস রাম মন্দিরের অবস্থার কথা তুলে ধরে জানিয়েছেন,”উদ্বোধনের পর প্রথম বর্ষাতেই মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে গর্ভগৃহে জল পড়তে শুরু করেছে। যেখানে রামলালা রয়েছেন সেই জায়গার জল থই থই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে শর্ট সার্কিট যাতে না হয়ে যায় তার জন্য ভোর ৪টে ও সকাল ৬টার আরতি টর্চের আলোতে করতে হচ্ছে।”
আরোও পড়ুন : কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনার পর ফের শিরোনামে রেল! দুন এক্সপ্রেসে বাঙালি যাত্রীদের ওপর হামলা, তোলপাড়!
রাম মন্দিরের পুরোহিতারও জানিয়েছেন, “যদি দু’একদিনের মধ্যে কোনও ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে বাধ্য হয়েই আমাদের বন্ধ করতে হবে পুজাপাঠ। সে ক্ষেত্রে ভক্তদের জন্যও বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা।” রাম মন্দিরের বেহাল অবস্থার জন্য বিজেপি সরকারকেই দুষছেন সেখানকার ভক্তরা। অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে রাম মন্দির উদ্বোধন করে ভোট বাক্স ভরাতে চেয়েছিল বিজেপি। তাই তাড়াহুড়ো করে রাম মন্দির উদ্বোধন করা হয়। এখন মন্দিরের যে অবস্থা, তাতে রামলালা নিজেই যেন ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন।
বাইরে ঝাঁ-চকচকে ভাবে মন্দির সাজানো হলেও ভেতরের অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। তাড়াহুড়োর কাজে যা হওয়ার সেটাই হয়েছে, প্রথম বর্ষাতেই মন্দিরের ছাদ দিয়ে জল গড়াতে শুরু করেছে মন্দিরে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর ২২ শে জানুয়ারি ধুমধাম করে রামমন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিভিআইপিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল অনুষ্ঠানে। রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন দেশের চার শংকরাচার্য। সনাতন ধর্মের নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা। অসমাপ্ত মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উচিত হয়নি বলেই মত ছিল তাঁদের।