বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) শিক্ষাগত যোগ্যতা (Education Qualification) নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) থেকে শুরু করে বহু মানুষই সময়ে সময়ে মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শুধুই প্রশ্ন নয়, উড়ে এসেছে নানান কটাক্ষ। অবশেষে ন’বছরের অপেক্ষার অবসান! সন্ধান পাওয়া গেল দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এমএ ক্লাসের সহপাঠীর।
গত বৃহস্পতিবার স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে মোদীর এমএ করার সময়কার কথা তুলে আনলেন এক বর্ষীয়ান সাংবাদিক। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের নাম শীলা ভাট (Sheela Bhatt)। তার কথায়, ‘১৯৮১ সালে আমার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর প্রথম আলাপ হয়। তখন তিনি স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।’ এই প্রবীণ সাংবাদিক জানান, মোদী ও তার দুজনেরই মেন্টার ছিলেন অধ্যাপক প্রবীণ শেঠ।
এইদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই সম্পাদক স্মিতা প্রকাশের সাথে একটি পডকাস্টে শীলা ভাট জানান, পড়াশোনায় ভীষণ মনোযোগী ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। মেধাবীও ছিলেন তিনি। তারা নাকি একসাথে তাদের মেন্টর প্রবীণ শেঠ-র বাড়িতেও যেতেন। এমনকি মোদীর আরও এক সহপাঠীকেও চেনেন বলে দাবী করেছেন শীলা ভাট।
এই বর্ষীয়ান সাংবাদিকের কথায়, ‘মোদীর সেই সহপাঠী একজন আইনজীবী। কংগ্রেস নেতারা আর কেজরিওয়াল যখন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে একের পর এক টুইট করছিলেন, তখন আমি তাকে ফোনও করেছিলাম। আমি তাকে বললাম আপনি তার সহপাঠী, তাই আপনি এই বিষয়ে কিছু বলেন। কিন্তু সে বলল না, সে এ বিষয়ে কিছু বলবে না।’
যদিও স্নাতকোত্তরের পর মোদি তার পড়াশোনা চালিয়ে গেছিলেন কি না সেই বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে শীলা ভাটের এই বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাশ করেছেন, তা নিয়ে আর ‘সন্দেহ’ থাকা উচিত নয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শীলা ভাট একজন খ্যাতনামা সাংবাদিক। কেরিয়ারের দীর্ঘ সময় ধরে গুজরাটে কাজ করেছেন তিনি।
১৯৮৭ সালে তিনি ‘দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি’-এর জন্য আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সাক্ষাৎকার নেন। কিছুদিন আগে ঐ সাক্ষাৎকারের সময় দাউদের সঙ্গে তোলা তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। যদিও কিছু মানুষের দাবি ছিল, ভাইরাল ছবিটি নাকি নকল। সমালোচকদের দাবি, দাউদের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া মহিলার ছবিটি নাকি কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেটের। যিনি তৎকালীন সময়ে একজন সাংবাদিক ছিলেন।