সৌতিক চক্রবর্তী,বোলপুর,বীরভূমঃ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিরাপত্তার জন্য সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (CISF) চেয়ে চিঠি করেছিলেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু উপাচার্যের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সমাবর্তনের সময় রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের কাছে খোলা চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা৷ যদিও এই খোলা চিঠি সোশাল মিডিয়া,বিশ্বভারতী পড়ুয়া ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের একাংশের হাতে হাতে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেছে। এই প্রথম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেখানে আধা সামরিক বাহিনীর আগমন ঘটতে চলেছে। তারফলে অনেকেই মনে করেছেন,এই ব্যবস্থা রবীন্দ্র আদর্শের বিপরীত৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় শুরু হয়। পাশাপাশি,বিশ্বভারতীর বিভিন্ন দেওয়ালে উপাচার্যের CISF চাওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পোস্টারও সেঁটে দেয় পড়ুয়ারা ৷
জানা গেছে,বিশ্বভারতীর বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত। বকেয়া টাকার দাবিতে ১৮ দিন ধরে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেছিল কর্মিসভা। পরে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে কর্মিসভার একাংশ উপাচার্যের কার্যালয় ঘিরে বিক্ষোভও দেখাতে থাকে। নিরাপত্তার এই গাফিলতির অভিযোগেই পাঁচজন নিরাপত্তিরক্ষীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তাই বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতিতে CISF মোতায়েন করার জন্য কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও আচার্য তথা
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি করেছিলেন উপাচার্য ৷ কিন্তু উপাচার্যের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি পড়ুয়ারা। তারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতিকে খোলা চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের কাছে এই চিঠি পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁদের ছিল৷ সেইজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাও কঠোর করা হয়েছিল।পাশাপাশি বিশ্বভারতীতে আধা সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে সোমবার ছাত্র সংগঠনের ডিএসওয়ের পড়ুয়ারা সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে শান্তিনিকেতন স্টেট ব্যাঙ্কের সামনে বিশ্বভারতী চত্বরের বাইরেই সারি দিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে CISF মোতায়েনের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু তা নিয়ে ওই আন্দোলনকারীদের অভিযোগ,পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে সরে যেতে বলে। কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয় নিরাপত্তার বিষয়কে।