বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাথরস কাণ্ডে একদিকে যেমন রোজই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। তেমন আরেকদিকে, এই ঘটনা নিয়ে উঠে আসছে একাধিক দাবি। গতকালই নির্যাতিতার পরিবার আর অভিযুক্তের ফোন কল রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে যে, দুই পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ ছিল আর গত এক বছরে ১০৪ বার দুই পক্ষের মধ্যে ফোনে কথাও হয়েছে।
যদিও পুলিশের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে নির্যাতিতার দাদা জানিয়েছেন যে, অভিযুক্তদের সাথে তাঁদের কোনও যোগাযোগ ছিল না। পুলিশ এই সময়ে কল ডিটেলস সামনে এনে তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে আর তাঁদের চাপে রাখার চেষ্টা করছে। নির্যাতিতার দাদা এও জানিয়েছে যে, তাঁর মোবাইল চুরি হয়ে গিয়েছিল আর এরপর সে নতুন সিম কেনে।
আরেকদিকে, নির্যাতিতার মা পুলিশকে জানিয়েছন যে, অভিযুক্ত বরাবর তাঁর মেয়েকে রাস্তায় দেখলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আর টোন-টিটকিরি করত। এবার সেই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্যও সামনে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, নির্যাতিতাকে মোবাইল ফোন গিফট করেছিল অভিযুক্ত। ঘটনার দিন দুজনে দেখা করতে যায়। গ্রাম প্রধান জানান, দুজনে যখন দেখা করতে যায় তখন নির্যাতিতার পরিবার ঘটনাটি দেখে ফেলে। এরপরেই তাঁরা রাগের বশে নিজের মেয়েকে ব্যাপক মারধোর করে। সেই মার সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার।
তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা যদি সত্যিই দোষী হয়ে থাকে তাহলে তাঁদের ফাঁসি দেওয়া হোক। কিন্তু তাঁদের কোনওরকম সাজা দেওয়ার আগে অন্তত অভিযোগটা প্রমাণ করা হোক। তিনি জানান, অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতা দুই পরিবারের নারকো টেস্ট করানো হোক। অন্য কারোর দোষের ভাগী যেন কোনও নির্দোষ না হয়।