বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেশপুর (Keshpur) ভুয়ো ধর্ষণ কাণ্ডে (Fake Rape Charge Case) এবার নেতাযোগ ! পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) কেশপুর ভুয়ো ধর্ষণ কাণ্ডে নাম জড়ালো শাসক দলের নেতার। প্রভাবশালী নেতার নির্দেশেই ফাঁসানো হয়েছিল তাকে! বিস্ফোরক অভিযোগ তুললো আক্রান্ত।
আক্রান্তের অভিযোগ : আক্রান্ত যুবকের দাবি, বছর পাঁচেক আগে শাসকদলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি সঞ্জয় পানের (TMC leader) নির্দেশেই তাকে ফাঁসানো হয়েছিল ! সে আরও জানায়, পাঁচবছর আগে প্রতিবেশী নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর তার মুখ দিয়ে ‘ধর্ষক’ হিসাবে যুবকের নাম বলিয়ে নেওয়া হয় ! দাবি করা হয়, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে সহবাস করেছেন যুবক। এই অভিযোগ অস্বীকার করেন যুবক। তারপরই গ্রামে সালিশি সভা বসে।
যুবকের দাবি, এই সালিশি সভা বসানো হয়েছিল সঞ্জয় পানের (Sanjay Pan) নির্দেশে। সেই সালিশিতে নিদান দেওয়া হয়, ওই যুবককে প্রতিবেশী অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে বিয়ে করতেই হবে। চাপের মুখে সেই নির্দেশ মানতে বাধ্য হন তিনি। তবে বিচারের আশায় ওই যুবক মামলা করেন মেদিনীপুর আদালতে। বিয়ের পর গ্রাম ছেড়ে পালিয়েও যান তিনি।
তবে এর পরই পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর আঁকার নিতে থাকে বলে অভিযোগ করেন ওই যুবক ও তার পরিবার। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ক্রমাগত যুবকের পরিবারের সদস্যদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। এমনকি তার পরিবারকে সম্পূর্ণ একঘরে করে দেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয় জমি সহ লক্ষাধিক টাকা। চলে অকথ্য অত্যাচার। ঘটনার জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন যুবকের কাকা। এই সমস্ত বিষয়ে তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে অভিযুক্তর পরিবার তরফে। তবে এই সমস্ত বিষয় রীতিমতো তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল নেতা সঞ্জয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। এমনকী, তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি