বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিজেপির (bjp) নেতৃত্ব তথা প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখোশ পরিয়ে দুই ব্যক্তিকে কোমরে দড়ি বেঁধে মারতে মারতে বিজয় মিছিল করল মালদহের (malda) তৃণমূল (tmc) নেতৃত্বরা। তৃণমূলের আনন্দের এই বহিঃপ্রকাশকে ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রবিবার নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তৃণমূল আবারও বাংলার মসনদে ফিরে আসে। যদিও জয়ের পর বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, বেশকিছু জায়গায় সেদিনই আবির মেখে উৎসব করতে দেখা গিয়েছিল বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। তবে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শুক্রবার এক বিজয় মিছিলের আয়োজন করেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সেখানেই এই বিতর্কিত ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার সকালে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক বিজয় মিছিলের আয়োজন করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানেই দেখা যায় দুই ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অমিত শাহের মুখোশ পরিয়ে তাঁদের কোমরে দড়ি বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটানো হচ্ছে। আর সেইসঙ্গে বলা হচ্ছে ‘বাংলায় আর আসবি, দিদিকে নিয়ে ব্যঙ্গ করবি’।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে হরিশ্চন্দ্রপুরের মণ্ডল সভাপতি রূপেশ আগারওয়াল বলেন, ‘তৃণমূলের সংস্কৃতি সম্পর্কে মানুষের ধারণা আছে। মানুষ ভবিষ্যতে বুঝতে পারবে তাঁদের রায় কতোটা ভুল ছিল। দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখোশ পরিয়ে যেভাবে নোংরামো করা হয়, তা দেখলাম আমরা। বর্তমানে আমরা ৩ থেকে ৭৭-এ এসেছি, ভবিষ্যতে আরও ভালো ফল করব’।
অন্যদিকে তৃণমূল কুশিদা অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ নুর আজম বলেছেন, ‘আমাদের জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসায় গোটা গ্রামের মানুষ আনন্দে আত্মহারা। সেই আনন্দেই এক বিজয় মিছিলের আয়োজন করে মোদী-শাহের মুখোশধারীদের ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়, সকলের মেলবন্ধন চাই’।