চলন্ত টোটো পড়ে গেল ড্রেনে! দেখা মাত্র যা করলেন সৌমিত্র খাঁ, ভিডিও দেখলে ধন্য ধন্য করবেন আপনিও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এগিয়ে আসছে লোকসভা ভোট। শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী দলের সবাই ব্যস্ত মসনদ দখলের লড়াইয়ে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে আমজনতার একাংশের অভিযোগ বিভিন্ন দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বহু ক্ষেত্রেই নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি বহুজনেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন বলেও আমজনতার দাবি।

ফলে, চারিদিকে যখন সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে, ঠিক তখনই প্রকাশ্যে এল বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁর একটি ভিডিও। আর সেই ভিডিওটিতেই এই সাংসদের এক মানবিকতার নজির ফুটে উঠেছে। শুধু তাই নয়, বিষ্ণুপুরের সাংসদের এই ভিডিওটি ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করার পাশাপাশি রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যেও সরাসরি প্রশ্ন করেছেন।

আরোও পড়ুন : ট্রেনে দেখা দক্ষিণী তরুণীর প্রেমে মগ্ন বাংলার তরুণ! ফোন নম্বর পেতে শেষমেষ রেলের কাছে করলেন আবেদন

তিনি ক্যাপশনের শুরুতেই লিখেছেন, “দেখুন বিষ্ণুপুরের সাংসদ এর কান্ড? গাড়ি থেকে নেমে  যা করলেন উনি..! একই সঙ্গে তিনি লেখেন, “এই রকম MP জন প্রতিনিধি আমি কোনোদিন দেখিনি। অনেকে আছেন গাড়ির কালো কাঁচ তুলে চলে যায়। বিষ্ণুপুর শহরের উপর দিয়ে যাচ্ছিল বিষ্ণুপুরের সাংসদ শ্রী সৌমিত্র খাঁ মহাশয় এর কনভয় হঠাৎ দেখেন একটা টোটো ব্যাক করে ঘুরতে গিয়ে রাস্তার পাশে ড্রেনে পড়ে যায় তৎক্ষণাত উনি নেমে টোটো টি তুলতে সাহায্য করেন।”

আরোও পড়ুন : বড়সড় সিদ্ধান্ত পর্ষদের! এবার ৪ দিন বাড়তি ছুটি পাবেন শিক্ষকরা, দেখুন কারা কারা নিতে পারবেন

বিষ্ণুপুরের সাংসদ হাত লাগানোর পরেই অবশ্য টোটো টি উঠে আসে। ওই ফেসবুক ব্যবহারকারীর আরোও সংযোজন, “আমার কথা উনার সিকিউরিটি,লোকজন থাকতেও উনি নিজে কেন নেমে এলেন, কারণ একটাই উনি নিজের কাজ নিজে করতে ভালোবাসেন।” এদিকে, বিষ্ণুপুরে সাংসদের ভিডিওটি পোস্ট হতে রীতিমতো উপচে পড়েছে কমেন্ট বক্স।

তিনি অবশ্য ভিডিওটি সংগৃহীত বলে উল্লেখ করেছেন।কমেন্ট বক্সে একজনের বক্তব্য , “সৌমিত্র খাঁ জিন্দাবাদ”। পাশাপাশি আরোও এক ব্যক্তি উল্লেখ করেছেন, “যখন ডাকি তখন পাই দাদা তোমায় আবার চাই”। ফলে, এলাকাবাসীর মনে বিষ্ণুপুরের সাংসদ যে ভীষণ কাছের মানুষ, কাজের মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছেন তা বলাই বাহুল্য।

 


Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর