বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের পুরনো সদস্য বিদ্যা বালান (Vidya Balan)। তথাকথিত বলিউডি নায়িকাদের মতো না হয়েও প্রথম সারিতে নিজের দক্ষতায়, নিজের প্রতিভায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। যেকোনো ধরণের চরিত্র, যেকোনো ছবিতেই নিজের অভিনয় প্রতিভা দেখিয়েছেন বিদ্যা। ‘হামারি অধুরি কাহানি’ থেকে ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ বা ‘শেরনি’ সমস্ত রকমের চরিত্রেই তুখোড় বিদ্যা।
কিন্তু সুপারস্টারেরও তো খারাপ সময় আসে। বিদ্যাও এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন যখন তাঁর একের পর এক ছবি ফ্লপ হচ্ছিল। দুর্দান্ত অভিনয় করেও ছবি হিট করাতে পারছিলেন না অভিনেত্রী। ঠিক তখনি পরিচালক মহেশ ভাটের ফোন পেয়েছিলেন বিদ্যা। তাঁর কথা শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী। কী এমন বলেছিলেন মহেশ?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বলেন, একটা সময় এসেছিল যখন পরপর তিন চারটে ছবি তাঁর ফ্লপ হয়ে গিয়েছিল। ঘনচক্কর, শাদি কে সাইড এফেক্টস, ববি জাসুস এর পর হামারি অধুরি কাহানির মতো ছবিও মুখ থুবড়ে পড়েছিল বক্স অফিসে। দর্শকদের প্রশংসা কুড়ালেও বক্স অফিসে একেবারেই চলেনি হামারি অধুরি কাহানি।
সে সময়কার কথা মনে করে অভিনেত্রী বলেন, এক রবিবার সকালে ছবির চিত্রনাট্যকার মহেশ ভাট ফোন করে তাঁকে খারাপ খবরটা দেন, হামারি অধুরি কাহানিও ফ্লপ। ফোন রেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বিদ্যা। সেদিনের মেঘভাঙা বৃষ্টির মতো অভিনেত্রীর চোখের জলেরও বাঁধ ভেঙেছিল।
স্ত্রীর মন ভাল করতে সিদ্ধার্থ রয় কাপুর তাঁকে চেম্বুরে সাই বাবার মন্দিরে নিয়ে যান। যেতে যেতেই বিদ্যার মনে উথাল পাথাল চলতে থাকে। আগে কী ঠিক করতেন তিনি আর এখন কী ভুল করছেন যার জনৃ তাঁর ছবি ফ্লপ হচ্ছে, এসবই ভাবছিলেন অভিনেত্রী। তখনি হঠাৎ তাঁর মনে হয়, যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সেসব ভেবে আর লাভ নেই। কখন কী হবে সেটা ঠিক করা তো কারোর হাতে নেই। তার থেকে বরং সফরটা উপভোগ করাই ভাল।
তারপরে অবশ্য আবারো সুখের মুখ দেখেছিলেন বিদ্যা। এমনকি তাঁর ছবি অস্কারের দৌড়ের জন্যও মনোনীত হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে ‘পরিণীতা’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন বিদ্যা। লগে রহো মুন্নাভাই, গুরু, ভুলভুলাইয়া, পা, কহানি, ইশকিয়ার মতো ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। শেষবার বিদ্যাকে দেখা গিয়েছিল জলসা ছবিতে।