বাংলা হান্ট ডেস্ক : টানা কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় অবশেষে কলকাতার সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুশো বছরের সিন্দুক ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন তথ্য, অন্যদিকে বিভিন্ন নথিপত্র ও মেডেল এবং শেখ উদ্ধার করা হয়েছে। আর সেই নথির মধ্যে মিলল এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সেই তথ্য থেকে জানা গিয়েছে স্বাধীনতার বহু বছর আগে অর্থাত্ বিদ্যাসাগরের সময়কালে বিধবা ভাতা দেওয়ার প্রচলন শুরু করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
এমনিতেই বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম পাশ করেছিলেন আর তার মধ্যেই আরও একটি নয়া সংযোজন হল বিধবাদের সাহায্যার্থে টাকা দেওয়া অর্থাত্ বিধবা ভাতা। শুক্রবার সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুক্তকেশী দেবীর বিধবা ফান্ড নামাঙ্কিত একটি নথি সকলের প্রকাশ্যে আনেন যেখান থেকে জানা যায় বিধবাদের আর্থিক সাহায্যের জন্য ওই ফান্ড থেকেই টাকা দেওয়া হত। একই সঙ্গে সেই নথিতে কারা কারা টাকা পেয়েছেন এবং কত টাকা করে পেয়েছেন? সেই সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
1956 সাল বলে উল্লেখ করা ছিল তাই মনে করা হচ্ছে বিধবা ভাতার দীর্ঘদিন ধরেই চালু ছিল। পাশাপাশি মহিলাদের তখন দু টাকা করে বিধবা ভাতা দেওয়া হত বলে জানা গিয়েছে একই সঙ্গে বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদের দুটি গ্রামের নাম উল্লেখ করা রয়েছে ওই বিধবা ভাতার নথিতে। যদিও এখানেই শেষ নয় 1919, 1931 সালের দুটি মেডেল উদ্ধার করা হয়েছে সেই সিন্দুক থেকেই।
এ ছাড়াও পোস্ট অফিসের পাসবুক ক্যাশবাক্স খুচরো পয়সা রাখার পাত্র পাওয়া গিয়েছে ওই শতাব্দী প্রাচীন বাক্স থেকে। একই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে সিল করার সাত সাতটি খাম। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন থেকে সংস্কৃত কলেজের গুদাম ঘরে এই দুটি সিন্দুক নিতান্তই অবহেলার মধ্যেই পড়েছিল। সম্প্রতি সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় সম্পত্তির খোঁজ করতে গিয়ে এই দুটি বহু প্রাচীন সিন্দুকের বিষয়টি নজরে আসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
এর পর শুক্রবার সেই সিন্দুকের চাবি খোলার জন্য চাবি মিস্ত্রিকে রাখা হয়। টানা চার ঘণ্টার প্রচেষ্টায় একটি সিন্দুক খোলা হয় কিন্তু অপর সিন্দুক এখনও অবধি খোলা যায়নি। উপাচার্যের ঘরে প্রথম সিন্দুক খোলা মাত্রই এই সমস্ত মূল্যবান নথির সন্ধান পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তবে অপর একটি খোলার চেষ্টা চলছে।