বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এক সময়কার শত্রু দেশ হলেও আজ এই করোনা (COVID-19) সংকটের মধ্যে আমেরিকার (America) পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ভিয়েতনাম (Vietnam)। পাঠাল সাড়ে ৪ লক্ষ ডাক্তারি স্যুট। মানবিকতার দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে গেল ভিয়েতনাম। শুধু মার্কি মুলুক নয়, বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশের দিকেও এই সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভিয়েতনাম।
ইতিহাসের পাতায় এই দুই দেশের শত্রুতার কথা উল্লেখ করা আছে। ১৯৫৫ থেকে ১৯৭৫ সালের ঘটনা হলেও আজকের দিনে তা পড়লে মানুষের হৃদিয়ে শিহরণ জাগিয়ে তোলে। কিভাবে ধবংস লীলায় মেতেছিল এই দুই দেশ। নিজেদের থেকে অনেক কম ক্ষমতা সম্পন্ন দেশ ভিয়েতনাম কিভাবে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছিল, তা বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। দীর্ঘ ২০ বছরের সেই ‘ভিয়েতনাম ওয়ারের’ এক শত্রু দেশ ভিয়েতনাম এই ২০২০ সালে অপর দেশ আমেরিকার পাশে দাঁড়াল।
যুদ্ধ বিগ্রহ শেষ হলেও, বিশ্ববাসী এখন এক গোপন যদ্ধে সামিল রয়েছে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ে চলেছে এখন গোটা বিশ্ব। চীনের এই ভাইরাস অল্প সময়ের মতো দাবানলের মতো ছড়িয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই মারণ রোগের কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২ লক্ষ মানুষ। এবং আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় সব মানুষ এই স্পর্শকাতর রোগের ভয়ে লকডাউনে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা দিন রাত এক করে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কাররে কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এক দেশ যতোটা পারছে, অন্য দেশকে সাহায্য করছে।
এই ভয়ঙ্কর মারণ রোগের কবলে পড়ে সুপার পাওয়ার আমেরিকা আজ ধরাশায়ী। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষের দিকে এগোচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। এবার এই দেশের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় করার জন্য প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ ডাক্তারি স্যুট পাঠাল ভিয়েতনাম। এক সময়কার শত্রু দেশ আজ বন্ধুর মতো আমেরিকার বিপদের সময়ে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় বর্তমানে ভিয়েতনাম অনেক এগিয়ে। চীনের প্রিবেশি দেশ হওয়া সত্ত্বেও, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭০ জন। যার মধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন ২২৫ জন। তবে এখনও অবধি একজন মানুষও সেখানে করোনা ভাইয়ারসের কারণে প্রাণ হারায়নি। প্রথম থেকেই এই মহামারির বিপদ আঁচ করতে পেরে ভিয়েতনাম সরকার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেই কারণে আজ তারা বিভিন্ন দেশকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে পেরেছে। সংকটের সময়ে শুধুমাত্র আমেরিকাই নয় ইউরোপের আরও ৫ টি দেশকে সাড়ে ৫ লক্ষ মাস্কও পাঠিয়ে ভিয়েতনাম।