বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে প্রধান বিচারপতির (Chief Justice) সমালোচনা করেছিলেন একজন বিশিষ্ট প্রাক্তন আইনজীবী। পরে সেই মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বলা হয় পৃথিবীর এই দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বাক-স্বাধীনতা স্বীকার করা হলেও বাস্তবে এটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। তাই প্রকাশ্যে বিচারপতির সমালোচনা করেই এবার বিপাকে পড়লেন সেদেশের এক স্বনামধন্য আইনজীবী।
ফেসবুকে প্রধান বিচারপতির (Chief Justice) সমালোচনা করে বিপাকে আইনজীবী
কথা হচ্ছে ভিয়েতনামের। প্রকাশ্যে প্রধান বিচারপতির (Chief Justice) সমালোচনা করায় শুক্রবার ১০ জানুয়ারি ভিয়েতনামের একটি আদালত ওই আইনজীবীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। হ্যানয় বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১৩-১৮ সাল পর্যন্ত হ্যানয় বার অ্যাসোসিয়েশনের উপপ্রধান ছিলেন তিনি। ৬৫ বছর বয়সী ট্রান দিন ত্রিয়েননেকে ‘গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা’র অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ত্রিয়েন অধিকারকর্মীদের পক্ষে ও জমি দখলের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে মামলাকারীর পক্ষ অবলম্বন করে আইনি লড়াই করেছেন। আদালতে জানানো হয়েছে ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে এই আইনজীবী এমন কিছু পোস্ট করেছিলেন যা আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির (Chief Justice) ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুন্ন করেছে।
হ্যানয়ের ভি দান ‘জনগণের জন্য’ নামের একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ত্রিয়েন গত জুন মাসেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত সপ্তাহে তাঁর আইনি পেশার লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ত্রিয়েন গত বছর এপ্রিল ও মে মাসে ফেসবুকে তিনটি পোস্ট করেছিলেন। ওই পোস্টগুলোতে তিনি প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেছিলেন। অভিযোগ করা হয় প্রধান বিচারপতি নাকি বিচারের সময় আসামিদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিত থাকতে বাধা দেন এবং সাংবাদিক ও আইনজীবীদের প্রকাশ্য বিচারের ভিডিও করতেও করতেও বাধা দেন।
আরও পড়ুন: পাল্টে যাচ্ছে নিয়ম? বাংলার আবাস যোজনা নিয়ে বড় পদক্ষেপ নবান্নের
মামলা চলাকালীন আদালতে, ত্রিয়েন ও তার আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, ওই পোস্টগুলি ছিল তার বাকস্বাধীনতার অধিকার চর্চা। তবে এটি কোনো ভাবেই আইন লঙ্ঘন করেনি। এদিন এই মামলায় আদালত রায় দিয়েছে, ভিয়েতনামের সংবিধান বাক-স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ঠিকই তবে তা রাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুন্ন করার জন্য ব্যবহার করা যাবে না একেবারেই।
আদালত জানিয়েছে, ‘ট্রান দিন ত্রিয়েনের কাজ অত্যন্ত গুরুতর। যা দেশের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও সামাজিক নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’ প্রসঙ্গত এখানে বলে রাখা ভালো সম্প্রতি ভিয়েতনামে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে এবার থেকে সেদেশে ফেসবুক ও টিকটক ব্যবহারকারীদের পরিচয় যাচাই করার পাশাপাশি সমস্ত তথ্য কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করতে হবে।