বাংলাহান্ট ডেস্ক: তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার বিজয় দেবেরাকোন্ডা (Vijay Deverakonda) পা রাখতে চলেছেন বলিউডে। অনন্যা পাণ্ডের বিপরীতে ‘লাইগার’ (Liger) ছবির হাত ধরে তিনি আসছেন হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু এমন একটা সময়ে তাঁর ছবি মুক্তি পাচ্ছে যখন বলিউডে বয়কটের ঢেউ। এক সময়ের বাঘা বাঘা তারকারা ধরাশায়ী হয়ে পড়ছেন। সেখানে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির বিজয়ের ছবিও বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেটিজেনরা।
আমির খানের লাল সিং চাড্ডা এবং অক্ষয় কুমারের রক্ষা বন্ধন দুটোই ফ্লপ হয়েছে। বলিউডের দর্শকদের বয়কটের সংষ্কৃতি নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিজয়। তিনি বলেন, একটা ছবির সেটে শুধু অভিনেতা এবং পরিচালক ছাড়াও আরো লোকজন থাকে। কলাকুশলী সহ ২০০-৩০০ জন অভিনেতা কাজ করেন একটি ছবিতে। একটা ছবি বহু মানুষের পেটের ভাত জোগায়। আর এই বয়কট ট্রেন্ডের জেরে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে বলে মত বিজয়ের।
বিজয় বলেন, আমির খান যখন একটা লাল সিং চাড্ডা বানান তখন তাঁর নাম ফোকাসে থাকলেও নেপথ্যে ২ হাজার-৩ হাজার মানুষের শ্রম থাকে। তাই একটা ছবিকে বয়কট করলে শুধু আমির খান নয়, ওই নেপথ্যে থাকা মানুষগুলোর পেটেও টান পড়ে।
অভিনেতা বলেন, “আমির স্যার এমন একজন মানুষ যিনি দর্শকদের হলে টানেন। আমি জানি না বয়কট ট্রেন্ড কেন শুরু হয়েছে, কিন্তু যদি কোনো ভুল বোঝাবুঝিতে এটা শুরু হয়ে থাকে, দয়া করে বুঝুন এতে শুধু আমিরের ক্ষতি নয়, সমগ্র অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে। চিত্রটা অনেক বড়।”
উল্লেখ্য, বলিউডে বিজয়ের প্রথম ছবিই বয়কটের মুখে পড়েছে। শুক্রবার থেকে টুইটারে ট্রেন্ডিং ‘বয়কট লাইগার’। কিন্তু কেন বয়কটের মুখে পড়েছে লাইগার? আসলে লাইগার ছবিটির প্রযোজনা করেছে করন জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন। তাই বিজয় বলিউডের সদস্য না হয়েও বয়কট ফাঁসে জড়িয়েছেন।
একটি টুইটে লাইগার বয়কটের ডাক দিয়ে দাবি করা হয়েছে, আগে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি নিজের দমে বক্স অফিসে রাজত্ব করত। কিন্তু এখন তারাও বলিউডকে ছাড়া চলতে পারছে না। অনন্যা, করনের মতো নীচু মানসিকতার মানুষের সঙ্গে কাজ করে বিজয়ও তেমন হয়ে যাচ্ছেন। যদিও বয়কট ট্রেন্ড শুরু হতে তেলুগুতে টুইট করে পালটা লড়াই করার ডাক দিয়েছেন বিজয়।