বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড (Bollywood) আর দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির (South Film Industry) মধ্যে যে একটা অঘোষিত যুদ্ধ চলছে সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল অনেকেই। হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির একচেটিয়া রাজত্বে বছর কয়েক হল থাবা বসিয়েছে তামিল, তেলুগু, কন্নড় ইন্ডাস্ট্রি। দক্ষিণ মাথা তুলতেই ধসে পড়েছে বলিউড। তাই নিয়ে দক্ষিণের কয়েকজন তারকা কটাক্ষও ছুঁড়েছেন ঠারেঠোরে। হয়েছে প্রকাশ্যে বিবাদ। এবার বিজয় দেবেরাকোন্ডা (Vijay Deverakonda) নামলেন মধ্যস্থতা করতে।
তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির এই সুপারহিট তারকা বলিউড ডেবিউ করতে চলেছেন ‘লাইগার’ ছবির হাত ধরে। ছবির প্রযোজক করন জোহর। বিপরীতে রয়েছেন অনন্যা পাণ্ডে। তেলুগু তারকাকে উষ্ণ স্বাগত জানিয়েছেন রণবীর সিং। ঢালাও প্রচারও করেছেন লাইগার এর। উত্তর দক্ষিণের যুদ্ধের মাঝে বিজয়ের সমর্থনে রণবীরের গলা ফাটানোর বহর নজর কেড়েছে অনেকেরই।
সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিজয়কে। পাশাপাশি উঠে এসেছিল বলিউড আর দক্ষিণের দ্বন্দ্বের বিষয়টাও। উত্তরে রণবীরকে ধন্যবাদ দিয়ে বিজয় বলেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হল এমন একটা ইন্ডাস্ট্রি যেখানে দক্ষিণের টেকনিশিয়ানরা উত্তরে কাজ করতে আসেন। আবার বলিউডের অভিনেত্রীরা দক্ষিণে গিয়ে কাজ করেন।
অনিল কাপুরের প্রসঙ্গ টেনে বিজয় বলেন, তিনি দক্ষিণ ইন্ডাস্ট্রি থেকে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা শ্রীদেবীও দক্ষিণী অভিনেত্রী ছিলেন। এই ইন্ডাস্ট্রি আসলে অনেকগুলো বিভিন্ন ভাষার ইন্ডাস্ট্রি নিয়েই তৈরি।
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির দৌলতে প্যান ইন্ডিয়া ছবির কথা উঠে আসছে। দক্ষিণের ইন্ডাস্ট্রিগুলো এখন এমন সব ছবি বানাচ্ছে যা গোটা দেশে জনপ্রিয় হচ্ছে। তাই তুলনাও টানা হচ্ছে। তবে বিজয় দেবেরাকোন্ডা চান এমন একটা সময় আসুক যখন কোনো উত্তর দক্ষিণ ভেদাভেদ থাকবে না। সব ছবিই ভারতীয় ছবি আর সব ইন্ডাস্ট্রি নির্বিশেষে ভারতীয় অভিনেতা অভিনেত্রী বলে পরিচিতি পাবে।
লাইগার ছবিতে একজন কিকবক্সারের ভূমিকায় অভিনয় করছেন বিজয়, যে একজন চা বিক্রেতা থেকে আন্তর্জাতিক মানের কিকবক্সার হয়ে ওঠে।
এই ছবির জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছেন বিজয়। চরম শারীরিক পরিবর্তন ঘটাতে হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি থাইল্যান্ডে গিয়ে মার্শাল আর্টও শিখেছেন তিনি। লাইগার ছবিটি হিন্দি ছাড়াও তামিল এবং তেলুগু ভাষাতেও মুক্তি পাবে। ছবির পরিচালনা করেছেন পুরি জগন্নাথ।