বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেউ যাচ্ছিলেন প্রিয়জনের কাছে, কারও মনে স্বপ্ন ছিল নতুন করে সংসার গোছানোর, কেউ আবার ভারত ভ্রমণ শেষে ফিরছিলেন দেশে। কিন্তু মুহূর্তে সব শেষ! বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) মৃত্যু হয়েছে ২৬৫ জনের। প্রয়াত হয়েছেন, গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও (Vijay Rupani Death)। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। দাদার মৃত্যু এখনও মেনেই নিতে পারছেন না দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের নর্দার্ন পার্ক এলাকার বাসিন্দা বিপুল রূপানিও।
দাদার মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবারে | Vijay Rupani Death
বিজয় রূপানি তাঁর তুতো দাদা। তবে পরিবারের সকলের কাছে বিজয়বাবু ছিলেন অভিভাবক। ঠিক কেমন মানুষ ছিলেন বিজয় রূপানি, পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন ছিল? বাংলাহান্টকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে (Banglahunt Exclusive) সবটা ভাগ করে নিলেন ভাই বিপুল রূপানি।
দাদার আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তাঁরা সবাই। তিনি জানান, “গতকাল ২. ৩০ এর দিকে খবরটা পাই। নিউজেই দেখি খবরটা। তারপর দাদাকে ফোন করে জানতে পারি ওই বিমানেই তাঁর যাওয়ার কথা ছিল। পরে সন্ধ্যা হতে হতেই আমরা কনফার্ম খবরটা পেয়ে যাই।”
বাড়ির সকলের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল বিজয় রূপানির? বিপুলবাবু বলেন, “সবার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল ওঁনার। সকলের সঙ্গে মিশত। সবার সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলত। যখনই দেখা হত। খুব ভালো ফ্যামিলিম্যান, খুব ভালো রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হলেও খুব মাটির মানুষ ছিলেন উঁনি।”
আরও পড়ুন: আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ টিম ইন্ডিয়ার! WTC ফাইনালেও পালন হল নীরবতা
এক বছর আগে কলকাতায় পারিবারিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিজয় রূপানি। বিপুলবাবুর দেখা হয়েছিল, কথাও হয়েছিল। পারিবারিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাঝেমধ্যেই তিনি কলকাতায় আসতেন বলে জানান বিপুলবাবু। রূপানি পরিবারের প্রতি তিঁনি সম্পূর্ণভাবে দায়বদ্ধ ছিলেন। পারিবারিক হোয়াটস্যাপ গ্রূপেও তিঁনি সক্রিয় থাকতেন। যোগ করেন বিপুলবাবু।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/jhE16GQrYB4?si=SvrzNAPyg5INdVbT
গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলে নয়, পারিবারিক দিক থেকে বিজয় ছিলেন নিপাট ফ্যামিলিম্যান। এমনটাই জানালেন মন্ত্রীর কলকাতা নিবাসী ভাই। তাঁর এভাবে মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকস্তব্ধ পুরো পরিবার। রূপানি পরিবারের পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রায় দেড়শো সদস্য রয়েছেন। বিজয়বাবুর অকাল প্রয়াণে তাঁরা সবাই শোকস্তব্ধ। কয়েকজন সদস্য গুজরাটেও গিয়েছেন বলে জানান বিপুল রূপানি।