জন্ম এক হতদরিদ্র পরিবারে, মাত্র ২৫ বছর বয়সে অনলাইনের মাধ্যমে এইভাবে কোটি টাকা কামিয়ে নিলেন এই যুবক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছোট শহর বা গ্রাম থেকে আসা ছেলেমেয়েরা যখন স্বপ্ন দেখার সাহসটুকু পায় না, সাফল্যের চূড়া থেকে নিজেদের অনেক দূরে মনে করে, তখন বিকাশ কুমার তাদের কাছে হয়ে ওঠেন এক উজ্জ্বল তারকা। আর এই বিকাশ এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি শুধুমাত্র বড় স্বপ্ন দেখেননি শুধু সেটাই নয়, বরং আজ তা পূরণ করেও দেখিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, বিকাশ বিহারের ছাপরা জেলার বনসোহি নামক একটি ছোট গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু, সেই ছোট্ট গ্রামের হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এলেও বিকাশ কুমারের দাবি, তিনি ব্লগিং করেই কোটিপতি হয়েছেন। ইতিমধ্যেই একটি সাক্ষাৎকারে বিকাশ জানিয়েছেন, তিনি একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটিকে প্রায় দেড় কোটি টাকারও বেশি মূল্যে বিক্রি করেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউটিউবার সতীশ কুশওয়াহারের সাথে তিনি তার জীবনের গল্প ভাগ করে নিয়েছেন। আর এই বিখ্যাত ইউটিউবারের সঙ্গে বিকাশের সাক্ষাৎকারের সময় উঠে এসেছে বিকাশের জীবন সংগ্রামের কথা। তিনি অবশ্য নিজের মুখেই বলেন যে, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ছাড়াও কিছু ব্লগে কাজ করে তিনি ২৫ বছর বয়সের আগেই কোটিপতি হয়েছেন। বিকাশের দাবি, বি.টেক পাশ করার পর আজ পর্যন্ত কোনো চাকরি করেননি। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে চাকরি করার কোনো ইচ্ছাও নেই বলেই দাবি করেন বিকাশ।

পারিবারিক দিক থেকে তেমনভাবে আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকার জন্য অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে বিকাশ দীর্ঘদিন ধরেই ডিজিটাল মার্কেটিংয়েও সাফল্যের নজির গড়ার চেষ্টা করছিলেন। তাই তিনি প্রথম থেকেই ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন শুরু করেছিলেন। ব্লগিংকে কেন্দ্র করে গ্রামে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল বাড়ি। বিটেকের থার্ড সেমিস্টার থেকেই টাকা রোজগার শুরু করেন তিনি।সেই সময় তিনি বিভিন্ন প্রবন্ধ লিখে খরচ চালাতেন।

বিকাশ আরও জানান, তার বাবা ঋণ নিয়ে তার পড়াশোনার যাবতীয় খরচ বহন করায় তিনি প্রতিমুহূর্তে ভাবতেন কীভাবে আরোও বেশী করে অর্থ উপার্জন করা যায়। তবে, কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলিতে প্রাথমিকভাবে তিনি অনলাইন আয়ের উপর নির্ভর না করলেও পরে বিকাশও তার বন্ধুর থেকে অনুপ্রাণিত হন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিনি ২০১৪ সালে ব্লগিং শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে যখন তার অর্থের প্রয়োজন ছিল, তখন তিনি একটি ইভেন্ট ব্লগ দিয়ে শুরু করেছিলেন। বিকাশ অবশ্য স্পষ্ট করেই বলেন, তিনি যখন ইভেন্ট ব্লগিং শুরু করেন, তখন তেমন প্রতিযোগিতা ছিল না। কিন্তু এখন প্রতিযোগিতা বেড়েছে। এরপর তিনি মাইক্রো নিশ ব্লগ শুরু করেন। তারপর সেখান থেকে তিনি ভাল উপার্জন শুরু করতেই পাকাপাকিভাবে চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর