বাংলাহান্ট ডেস্ক: কঙ্গনা রানাওয়াতের (kangana ranawat) পর এবার মারাঠি অভিনেতা বিক্রম গোখেল (vikram gokhale), ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না। অতি সম্প্রতি কঙ্গনা মন্তব্য করেছেন, ১৯৪৭ এ পাওয়া স্বাধীনতা আসলে ব্রিটিশদের দেওয়া ভিক্ষা। ২০১৪ তে ভারত সত্যি সত্যি স্বাধীন হয়েছিল। এবার ‘কুইন’ অভিনেত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করলেন অভিনেতাকে বিক্রম গোখেলও।
রবিবার মহারাষ্ট্রের এক অনুষ্ঠানে গোখেল বলেন, তিনি কঙ্গনার বক্তব্যকে সমর্থন করেন। তাঁর কথায়, “স্বাধীনতা আমাদের ভিক্ষা দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যখন ফাঁসির দড়িতে ঝুলেছে তখন অনেকেই নীরব দর্শক থেকেছে। এদের মধ্যে অনেক বর্ষীয়ান নেতারাও ছিলেন। ওঁরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বাঁচাননি যারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন।” তবে তাঁর এমনও বক্তব্য, বিজেপি সহ প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই বিতর্ক থেকে লাভ পাওয়ার চেষ্টা করে।
কঙ্গনার মন্তব্যের জেরে তাঁর পদ্মশ্রী ফিরিয়ে নিয়ে গ্রেফতার করার ডাক উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। সম্প্রতি বিষয়টা নিয়ে মুখ খোলেন কঙ্গনা। পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিতে রাজি আছেন তিনি। তবে তার বদলে একটি শর্ত মানতে হবে তাঁর। কঙ্গনারর বক্তব্য, তাঁর যে সাক্ষাৎকার নিয়ে এত বিতর্ক তৈরি হচ্ছে সেই সেই সাক্ষাৎকারেই স্পষ্ট বলা আছে।
১৮৫৭ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার প্রথমবার বিদ্রোহ হয়েছিল। সেটা তিনি জানেন। কিন্তু ১৯৪৭ সালে কোন বিদ্রোহ হয়েছিল? সেটা তিনি জানেন না। কঙ্গনার শর্ত, তাঁকে যদি কেউ এটার উত্তর বলে দেয় তাহলে তিনি পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেবেন এবং ক্ষমাও চাইবেন।
কঙ্গনা আরো বলেছেন, যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে ওই সাক্ষাৎকারে তিনি একবারও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অসম্মান করেছেন তাহলেও তিনি পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেবেন। অভিনেত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি রাণী লক্ষ্মীবাঈয়ের উপরে তৈরি ছবিতে নিজে অভিনয় করেছেন। ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ নিয়ে গভীরে গবেষণা করেছেন।
ডানপন্থীদের সঙ্গে জাতীয়তাবাদও তুঙ্গে উঠেছিল। কিন্তু সেটা হঠাৎ করেই ঝিমিয়ে পড়ল কেন? গান্ধীজি ভগৎ সিংকে শহিদ হতে দিলেন কেন? নেতাজিকে মারা হল আর গান্ধীজি তাঁকে সাহায্য করলেন না কেন? একজন শ্বেতাঙ্গ ভারতকে ভাগ করে দিল কেন? প্রশ্ন তুলেছেন কঙ্গনা। সঙ্গে তাঁর সাফাই, তিনি বলেছেন, শারীরিক ভাবে স্বাধীনতা হয়তো আগেই পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু মনের যে স্বাধীনতা, চেতনা জেগেছে ২০১৪ তেই।