মমতার এক নির্দেশেই ‘অ্যাকশন’! নন্দীগ্রামে ভিলেজ পুলিশ-সহ ২ BJP কর্মীর যা হাল হল…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা-অশান্তির জের! নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া থেকে গ্রেফতার ভিলেজ পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে আটক ভিলেজ পুলিশ (Village Police arrested) সঞ্জয় ওরফে রাজু গুড়িয়া। জানা গিয়েছে, ধৃত ভিলেজ পুলিশ এলাকায় বিজেপি কর্মী (BJP Worker) হিসেবে পরিচিত।

পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দুই গেরুয়া দলের কর্মীকে। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে ভোট হিংসার জেরে আক্রান্ত কর্মীদের দেখতে বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালে যান মমতা। সেখানে আক্রান্তদের সাথে কথা বলে তাদের হাতে হাতে চেক তুলে দেন। সেখান থেকেই অভিযুক্ত ভিলেজ পুলিশ রাজুকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর এক নির্দেশেই হল কাজ। বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত সঞ্জয়(রাজীব) গুড়িয়া, নটুবিহারী দাস এবং স্বপন বারিক এই তিন জনই নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

মারধর, দলবদ্ধভাবে হামলা, ভয় দেখানো এবং খুনের চেষ্টার, এমনকী পুলিশের তথ্য ফাঁস করার মতো মারাত্মক অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ভিলেজ পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভোট গণনার দিন ভেকুটিয়ায় রাতে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগেও অভিযুক্ত এই সঞ্জয়।

mamata banerjee

অভিযুক্ত ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৫০৬ এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। চলছে তদন্ত। এই বিষয়ে ভেকুটিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন,”গত বিধানসভার ভোটের সময় থেকেই এরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। বহু তৃণমূল কর্মী বাড়িছাড়া। জখম। তাদের মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশকে ধন্যবাদ।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর