বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবাস যোজনা থেকে শুরু করে ১০০ দিনের প্রকল্প রাজ্য সরকারের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ রয়েছে একাধিক প্রকল্পে। কেন্দ্রের বঞ্চনার জন্য রাজ্যে দিনের পর দিন বন্ধ ছিল একাধিক সরকারি প্রকল্পের কাজ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যবাসীকে তিনি কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হতে দেবেন না। তাই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও একের পর এক প্রকল্প জারি রেখে রাজ্যবাসীকে আর্থিক সাহায্য করে চলেছে মমতার সরকার।
সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে (Mamata Banerjee) ফোন করেই সমস্যা মিটল গ্রামবাসীদের
একশো দিনের প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকা আগেই মিটিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তারপর গত বছরের শেষেই দেওয়া হয়েছে আবাস প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা। এছাড়াও গ্রামীণ প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। তবে গ্রামীণ রাস্তাঘাট উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ায় কারও মুখাপেক্ষী থাকতে নারাজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই রাজ্য সরকার নিজেই চালু করেছে ‘পথশ্রী’ প্রকল্প।
পথশ্রী প্রকল্পের সাহায্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কয়েক হাজার রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বাকি রয়েছে বেশ কিছু রাস্তা সংস্কারের কাজ। তাই সমস্যার সমাধান করতেই কয়েকজন এলাকাবাসী ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’র (Sarasari Mukhyamantri) টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তখন কেউ ভাবতেও পারেননি বাসিন্দাদের এক ফোনে এত দ্রুত কাজ হবে। গ্রামবাসীরা ফোন করার পরেই ২০০০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তার সমীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এই প্রথমবার উচ্চ-মাধ্যমিকে বিরাট ব্যবস্থা! কড়া পদক্ষেপ শিক্ষা সংসদের
রিপোর্ট জমা পড়েছে পঞ্চায়েত গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরেও। নবান্ন সূত্রে খবর, এবার মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) অনুমোদন মিললেই উত্তর ২৪ পরগণা জেলার প্রায় আড়াই হাজার রাস্তা সংস্কারের কাজ হয়ে যাবে। ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে ফোন করে এত দ্রুত কাজ হওয়ায় ব্যাপক খুশি এলাকার মানুষজন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর ৪ হাজারের বেশি রাস্তা সংস্কারের আবেদন জমা পড়েছে নবান্নে। তার মধ্যে ২৪০০ টি রাস্তা সংস্কারের কাজ আগে করা হবে। তারপর হবে বাকিটা।
সূত্রের খবর যে ২৪০০ টি রাস্তা সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার। ব্লকস্তর থেকে তথ্য নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন তা নবান্নে পাঠিয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে সবুজ সংকেত এবং টাকার অনুমোদন আসলেই শুরু হবে টেন্ডার প্রক্রিয়া। প্রসঙ্গত ২০০৩ সালের ৮ জুন প্রথম চালু হয়েছিল ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ পরিষেবা। এখানে মানুষজন সরাসরি ফোন করে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারেন। তাতে কাজ-ও হয় অনেক তাড়াতাড়ি। তাই ছোট বড় সমস্যার জন্য সাধারণ মানুষের ভরসা এখন এই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী পরিষেবা।