বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইয়াসের দাপটে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাংলা বিস্তীর্ণ এলাকা। বিশেষত, দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে রীতিমতো বিধ্বস্ত মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও জানিয়েছিলেন ভেঙে গিয়েছে প্রায় ১২৪টি নদী বাঁধ। শুধু তাই নয়, এ নিয়ে সেচ দপ্তরকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি। তার বক্তব্য ছিল, প্রতিবছর বাঁধের জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে তাহলে এভাবে বাঁধ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটছে কেন। এবার ফের একবার শুধু তোর নয় কংক্রিটের বাতিলের দাবিতে সরব হল জনতা।
ঘটনাটি ঘটেছে, সুন্দরবনের গোসাবার রাঙাবেলিয়া এলাকায়। সেখানে তার ত্রাণের লাইনে দাঁড়িয়েই কংক্রিটের বাঁধের দাবিতে সরব হন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, শুধু ত্রাণ নয়, চাই কংক্রিটের বাঁধ। এমনকি নদীবাঁধের দাবিতে আগামী ৫ জুন গোসাবায় অবস্থান বিক্ষোভেরও ডাক দিয়েছে সুন্দরবন নদী বাঁধ ও জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটি। স্থানীয় মানুষদের বক্তব্য বন্যায় ভেসে গিয়েছে স্থানীয় এলাকা। এখনো পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারেননি তারা। তাই নদী বাঁধে দাঁড়িয়েই কংক্রিটের নতুন নদী বাঁধের দাবিতে আওয়াজ তুলেছেন তারা। এক স্থানীয় বাসিন্দার বক্তব্য, “এত বড় একটা তুফান গেল তারপর থেকে নদীর গর্ভে কোন কাজই হচ্ছে না। বাঁধে মাটিও পড়ছে না তাহলে আমরা বাঁচবো কি করে? সরকার তো কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে। কিন্তু নদীতে কোন কাজ হচ্ছে না। ইট ফেলার কথা বলেছিলাম তাও শোনা হচ্ছে না।”
কাজের রুপায়ন নিয়ে সেচ দপ্তরকে এর আগেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মমতা। এমনকি অর্থ দপ্তর কেউ জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি খতিয়ে না দেখে যেন সেচ দপ্তরকে কোন টাকা না দেওয়া হয়। তার পরেও এভাবে রোজই বিপদে পড়ছেন মানুষ। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত পড়তে হবে সুন্দরবনের মানুষকে। আর সেই কারণেই এবার অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সুন্দরবন নদী বাঁধ ও জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটি। এখন আগামী দিনে এই সমীকরণ কোন দিকে মোড় নেয় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।