বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিনেমা হিট হয় নায়কের জন্য। একথা যতটা ঠিক, খলনায়কের (Villain) উপরেও ছবির সাফল্য নির্ভর করে, একথাও ততটাই ঠিক। ভিলেন না থাকলে হিরোর অস্তিত্বই থাকত না। তাই সিনেমায় ভিলেনেরও গুরুত্ব অপরিসীম। বলিউড যে কজন জনপ্রিয় এবং দুর্ধর্ষ খলনায়ক পেয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রঞ্জিত (Ranjeet)।
বলিউডের সবথেকে ‘নচ্ছার’, দুশ্চরিত্র ভিলেনদের মধ্যে একজন ছিলেন রঞ্জিত। বেশিরভাগ ছবিতেই নায়িকাদের ধর্ষণের দৃশ্যে দেখা যেত তাঁকে। এর জন্য তাঁর উপাধিই হয়ে গিয়েছিল ‘রঞ্জিত- দ্য রেপিস্ট’। কিন্তু পর্দায় যা দেখানো হয় তা তো আর সবসময় সত্যি হয় না। বাস্তবে রঞ্জিত খুবই ভাল মানুষ। কিন্তু তাঁর অনস্ক্রিন ভাবমূর্তি প্রভাব ফেলেছিল তাঁর বাস্তব জীবনেও।
অভিনয় তিনি ছেড়ে দিয়েছেন বহুদিন আগে। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন এক ঝুলি অভিজ্ঞতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ঝুলি থেকে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন রঞ্জিত। তিনি জানান, তাঁর স্বভাব আছে কারোর সঙ্গে দেখা হলে তিনি প্রথমে হ্যান্ডশেক করে তারপর আলতো করে আলিঙ্গন করেন। কিন্তু এতে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কপিল দেবের বৌদি। শেষে কপিল তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন এই বলে যে, তিনি যেমন ভাবছেন রঞ্জিত তেমন নন।
শুধু কি তাই, নিজের মেয়েকে নিয়েও বেরোতে পারতেন না রঞ্জিত। মেয়ে জিজি যখন দিল্লিতে থাকতেন তখন তিনিও মাঝে মাঝেই দেখা করতে যেতেন মেয়ের সঙ্গে। তাঁরা যখন হাত ধরে রেস্তোরাঁয় যেতেন তখন লম্বা চওড়া যুবতী মেয়েকে দেখে অনেকেই নাকি ঘেন্না ভরে তাকাতেন রঞ্জিতের দিকে। জিজি যে তাঁর নিজের মেয়ে সেটাও বুঝতে পারতেন না অনেকে।
আরো এক ঘটনা জানান রঞ্জিত। ‘শর্মিলি’ ছবিতে তাঁর একটি দৃশ্য ছিল যেখানে তিনি নায়িকা রাখি গুলজারের সম্মানহানি করার চেষ্টা করছেন। সেটাই ছিল তাঁর প্রথম এই ধরণের চরিত্র। রঞ্জিত জানান, ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের পরিবার খুবই রক্ষণশীল ছিল। সেখানে বাড়ির ছেলে পর্দায় এসব অসভ্যতা করছেন, মেনে নিতে পারেননি তাঁর বাবা। তিনি বলেছিলেন, তাঁর সম্মান নষ্ট করেছেন রঞ্জিত।