বাংলা হান্ট ডেস্ক : স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে (Vinayak Damodar Savarkar) নিয়ে দেশের মধ্যেই বিতর্কের শেষ নেই। বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি তাঁকে গৌরবান্বিত করতে চায়। অপরদিকে কংগ্রেস সহ বাকি বিরোধী দলগুলি সাভারকরের নামে কুৎসা রটাতে কুন্ঠা বোধ করেনা। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari) চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে বসলেন।
কী বললেন গডকড়ী? গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী জানান, ‘হিন্দুত্ববাদী নেতা বিনায়ক দামোদর সাভারকর স্বাধীনতা সংগ্রামীর পাশাপাশি একজন সমাজ সংষ্কারকও ছিলেন। স্কুলের পাঠ্য থেকে তাঁকে সরানো খুবই হতাশাজনক। নাগপুরে সাভারকর সম্পর্কিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন নিতিন গডকড়ী। সেই অনুষ্ঠানে সাভারকরের জীবনের উপর লেখা একটি বই উদ্বোধন করেেন তিনি।
নিতিন এদিন বলেন, ‘সাভারকর বলতেন, হিন্দুত্ববাদ জাতি বিভেদ মুক্ত। এমন একজন মানুষের অধ্যায়কে স্কুলের পাঠ্য থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত ন। কারুর নাম না গডকড়ী যে কর্ণাটকে সদ্য নির্বাচিত কংগ্রেস সরকার কেই আক্রমণ করেছেন তা মেনে নিচ্ছেন অনেকেই।
কী হয়েছিল ঘটনা? সম্প্রতি কর্ণাটকের পাঠ্যপুস্তক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সাভারকর ও হেডগেবারের অধ্যায়। এরপরই চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয় রাজ্য জুড়ে। বিতর্ক ওঠে কর্ণাটক সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে। গডকড়ী বলেন সাভারকরের বিষয়ে না জেনে তাঁর বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। স্বামী বিবেকানন্দ ও দামোদরের আদর্শ একই ছিল। তাঁদের আদর্শেই যুব সম্প্রদায়ের দেশকে পরিচালনা করা উচিত।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)-র নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারা জেলায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি। সেখানেই তিনি বিজেপিতে যোগদানের পর শুরুর দিনগুলি ও দলের দীর্ঘ যাত্রাপথ নিয়ে কথা বলেন।
স্মৃতিচারণ করতে করতেই নিতিন গড়করি বলেন, প্রয়াত কংগ্রেস নেতা শ্রীকান্ত জিসকার তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন যে তাঁকে যদি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, তবে তিনি কী করবেন? জবাবে তিনি বলেছিলেন, ওই দলে যোগ দেওয়ার থেকে বরং কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুবরণ করাকে তিনি বেশি পছন্দ করবেন।
তিনি বলেন, ‘জিসকার এক সময়ে আমায় বলেছিলেন, তুমি খুব ভাল দলীয় কর্মী ও নেতা। যদি তুমি কংগ্রেসে যোগ দাও, তবে তোমার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। কিন্তু আমি ওঁকে বলেছিলাম যে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার থেকে আমি কুয়োয় ঝাঁপ দেব। কারণ বিজেপির প্রতি আমার গভীর আস্থা রয়েছে। বিজেপির চিন্তাধারায় আমি বিশ্বাস করি এবং আগামিদিনেও বিজেপির হয়েই কাজ করব।’