বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের আগস্ট মাসে আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে ধর্ষিতা হয়ে খুন হন এক চিকিৎসক পড়ুয়া। নারকীয় সেই ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছিল বাংলা সহ গোটা দেশকে। এদিকে এই নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করে বিতর্কে জড়ান কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Vineet Kumar Goyal)। পরবর্তীতে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার সেই মামলাতেই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল উচ্চ আদালত।
সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে যুক্ত করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)!
২০২৪ সালের ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার নিথর দেহ। জানা যায়, ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন তিনি। প্রথমে এই ধর্ষণ খুন কাণ্ডের তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। সেই সময় তাঁদের ভূমিকা নিয়ে নানান মহল থেকে বিস্তর প্রশ্ন ওঠে। এই আবহেই প্রকাশ্যে নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করে বিতর্কে জড়ান কলকাতা তৎকালীন সিপি বিনীত।
সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ সত্ত্বেও কেন আরজি কর নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করলেন বিনীত গোয়েল? এই নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন অমৃতা পাণ্ডে নামের একজন আইনজীবী। তিনি অভিযোগ করেন, শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ সত্ত্বেও বিনীত গোয়েল তার তোয়াক্কা না করে মিডিয়াকে আরজি কর নির্যাতিতার নাম জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘বিষয়টি আমি দেখব’, SSC ২৬০০০ মামলায় রাজ্যকে আশ্বাস প্রধান বিচারপতির, ফিরবে সবার চাকরি?
এবার এই মামলাতেই ভিডিও ফুটেজ আদালতে জমা করার মামলাকারীর আবেদন গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) এই নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আরজি কর নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করা নিয়ে বিনীতের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এই মামলা থেকে একসময় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ান উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি। বর্তমানে বিচারপতি মান্থার এজলাসে এই মামলা চলছে। ইতিমধ্যেই এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হলফনামা দিয়েছে রাজ্য। আগামী ৬ মে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।