ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat) প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪-এ ৫০ কেজির ক্যাটাগরিতে কুস্তি ইভেন্টের ফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ২৯ বছর বয়সী কুস্তিগীরকে ফাইনালের সকালে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। বুধবার ভিনেশের (Vinesh Phogat) অলিম্পিক রৌপ্য পদক পাওয়ার আশা ভেঙ্গে যায়। সেদিন আরবিট্রেশন কোর্ট (সিএএস) ফাইনাল থেকে অযোগ্যতার বিরুদ্ধে তাঁর অ্যাপিল খারিজ করে দেয়। প্যারিস গেমসে ভিনেশ ফোগাটের কোচ, ভোলার আকোস, ভারতীয় কুস্তিগীরের সঙ্গে পর্দার পিছনের দুর্ব্যবহার প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে হাঙ্গেরির কোচ পরে এই ফেসবুক পোস্টটি ডিলিট করে দেন। আকোস লিখেছেন- ‘সেমিফাইনালের পরে ২.৭ কেজি অতিরিক্ত ওজন বাকি ছিল ভিনেশের, আর কোনও বিকল্পও ছিল না। মধ্যরাত থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বিভিন্ন কার্ডিও মেশিনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভিনেশ। মাত্র দুই-তিন মিনিট বিশ্রাম নিয়ে এই কাজ করেছিল সে। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে মামলার নাটকীয়তা বাড়াচ্ছি না, তবে আমার মনে আছে যে সে শরীরচর্চা করতে গিয়ে পড়েও গিয়েছিল। সেখানে উপস্থিত অনেকেই ভেবেছিল যে সে এতটা শরীর চর্চার কারণে মারাও যেতে পারে।’
বুধবার ভিনেশের (Vinesh Phogat) অলিম্পিক রৌপ্য পদক পাওয়ার আশা ভেঙ্গে যায়
তিনি আরও লিখেছেন- ‘সেই রাতে হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় আমাদের মধ্যে মজার আলাপ হয়েছিল। ভিনেশ বলেছিল- ‘কোচ, দুঃখ করবেন না, কারণ আপনি আমাকে বলেছিলেন যে আমি যদি নিজেকে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে পাই এবং অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয় তবে আমার মনে করা উচিত যে আমি বিশ্বের সেরা মহিলা কুস্তিগীরকে (জাপানের ইউই সুসাকি) পরাজিত করেছি। আমি আমার লক্ষ্য অর্জন করেছি। আমি প্রমাণ করেছি যে আমি বিশ্বের সেরা কুস্তিগীরদের একজন। আমরা প্রমাণ করেছি যে গেমপ্ল্যান কাজ করে। পদক না পেয়ে পারফরম্যান্স কেড়ে নেওয়া যাবে না।”
কোচ জানান, ভিনেশ সাক্ষী এবং বজরংকে তাঁদের অলিম্পিক পদক নদীতে ফেলে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন কোচ। তিনি সেগুলি রেখে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ভিনেশ তাঁকে বলেছিল যে সেই যাত্রাটি গুরুত্বপূর্ণ। ভিনেশ বলেছিল ‘আমরা এখনও গর্বিত হব যে আমাদের পেশাদার সময়সূচী এবং কঠোর পরিশ্রম বিশ্বের সেরা মহিলা কুস্তিগীরকে পরাজিত করতে এবং ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীরকে অলিম্পিক ফাইনালে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।