বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভিনেশ ফোগাটকে নিয়ে রীতিমতো কুস্তিতে সোনা জয়ের স্বপ্ন দেখছিল ভারত। ২০১৪ ও ২০১৮ কমনওয়েলথ এবং ২০১৮ সালের এশিয়ান গেমসে সোনা এনেছিলেন এই মল্লযোদ্ধা। কিন্তু টোকিও অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেন ভিনেশ। তার এই আশ্চর্য বিদায় রীতিমত অবাক করে দিয়েছিল সকলকে। এবার গুরুতর অভিযোগ উঠল ভিনেশ ফোগাটের হাঙ্গেরীয়ান কোচ ওয়ালার আকোসকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলেছেন সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরন সিং।
তার দাবি, ভিনেশের হাঙ্গেরীয়ান কোচ তাকে বোকা বানিয়ে তার জন্য আসা সরকারি অনুদানের টাকা ব্যবহার করেছেন নিজের স্ত্রীর পিছনে। এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে ব্রিজভূষণ বলেন, “ভিনেশ দু’বছর হাঙ্গেরিতে অনুশীলন করে। ওর কোচও একজন হাঙ্গেরিয়ান। ওর কোচ নিজের কোচিং পদ্ধতি নিয়ে আমাদের বোকা বানিয়েছে। ও নিজের কুস্তিগীর স্ত্রী মারিয়ানা সাস্টিনের সঙ্গে ভিনেশকে অনুশীলন করায়। ওর স্ত্রী’ও অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করে। তবে প্রথম রাউন্ডেই হেরে যায়।” তার দাবি, বিষয়টা এমন দেখাচ্ছে যে, নিজের স্ত্রী’র অনুশীলনের জন্য ভিনেশের কোচ টার্গেট টু অলিম্পিক পোডিয়াম প্রকল্প থেকে টাকা ব্যবহার করেছে।
টার্গেট টু অলিম্পিক পোডিয়াম প্রকল্প থেকে ২০১৬ থেকে ২০২১ অবধি মোট পাঁচ বছরে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল ভিনেশের প্রস্তুতির জন্য। ডব্লিউএফআই সভাপতির সেই টাকা থেকেই নিজের স্ত্রীর অলিম্পিক প্রস্তুতির পিছনে টাকা খরচা করেছেন ওয়ালার আকোসকে। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগের অবশ্য এখনো কোনও জবাব আসেনি। কিন্তু একথা ঠিক যে গত দু’বছর ধরে হাঙ্গেরিতে মারিয়ানা সাস্টিনের সঙ্গেই অনুশীলন করছিলেন ভিনেশ। অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করেন দুজনেই।
সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি যে অভিযোগ করছেন তা সত্য প্রমাণিত হলে আগামী দিনে যে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠবে পরিস্থিতি তা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুরুটা ভিনেশ করেছিলেন ফেভারিট হিসেবেই। ৫৩ কেজি বিভাগে সোফিয়া ম্যাটসনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছান তিনি। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় ভারতীয় কুস্তিগীরের।