বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে বারংবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলি (Vinod Kambli)। একদিকে তিনি শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন। অন্যদিকে কাম্বলি আর্থিক সঙ্কটেরও সম্মুখীন হয়েছেন। ৫২ বছর বয়সী বিনোদ কাম্বলি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। তাঁর শারীরিক অবস্থার যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। হাঁটাচলার ক্ষেত্রেও তাঁর সমস্যা হচ্ছে।
মিথ্যে অপবাদের সম্মুখীন বিনোদ কাম্বলি (Vinod Kambli):
“ক্রিকেটের ঈশ্বর” সচিন তেন্ডুলকারের ছোটবেলার বন্ধু বিনোদ কাম্বলির (Vinod Kambli) এমন কঠিন সময়ে আয়ের কোনও উৎসও নেই। তিনি BCCI থেকে প্রতি মাসে যে পেনশন পান তার ওপরেই নির্ভরশীল। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে যে, তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করবে কে? পাশাপাশি, তাঁর হোম লোন রয়েছে বলেও জল্পনা শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আসল সত্য উপস্থাপিত করব।
পাশে রয়েছে পরিবার: কাম্বলির (Vinod Kambli) এই দুঃসময়ে তাঁর পাশে রয়েছে পরিবার। কাম্বলি তাঁর পরিবারের সাথে মুম্বাইতে থাকেন। তিনি তাঁর স্ত্রী আন্দ্রেয়া হিউইট ও এক পুত্র এবং কন্যা সন্তানের সাথে থাকেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে, আন্দ্রেয়া তাঁর স্বামীর কাছে সবসময় রয়েছেন। তিনি তাঁর গাড়িতেই কাম্বলিকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: মাত্র ৩৬ ঘন্টার ব্যবধানে আচমকাই অবসর ৩ তারকা খেলোয়াড়ের, পাকিস্তানের ক্রিকেটে শুরু তীব্র আলোড়ন
সাহায্য করেন সচিন: একটা সময় ছিল যখন বিনোদ কাম্বলিরও (Vinod Kambli) কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল এবং তিনি রীতিমতো বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। কিন্তু এখন কাম্বলির চিকিৎসারও টাকা নেই। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে গিয়েছে যে, কয়েকজন বন্ধু মিলে তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করছেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, যাঁরা কাম্বলিকে সাহায্য করেছিলেন তাঁদের মধ্যে সচিন তেন্ডুলকারও রয়েছেন। এর পাশাপাশি, BCCI-এর কাছ থেকে পাওয়া পেনশনের কারণে, বিনোদ এবং তাঁর পরিবার আর্থিক দিক থেকে সাহায্য পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: এবার চিনের দর্পচূর্ণ করবে ভারত! বিরাট প্ল্যান সামনে আনল সরকার, জানলে হয়ে যাবেন “থ”
কাম্বলির কোনও হোম লোন নেই: জানিয়ে রাখি, বিনোদ কাম্বলি (Vinod Kambli) বর্তমানে যে বাড়িটিতে রয়েছেন সেখানে ২০১০ সালে শিফট হয়েছিলেন। তখন এই বাড়ির দাম ছিল ২ কোটি টাকা। যেখানে বর্তমানে এই বাড়িটির দাম ৮ কোটি টাকা। সম্প্রতি মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে বিনোদ কাম্বলির নাকি হোম লোন রয়েছে। তিনি DNS ব্যাঙ্ক থেকে ৫৪ লক্ষ টাকার হোম লোন নিয়েছিলেন। তবে এখন রিপোর্ট বলছে কাম্বলির কোনও হোম লোন নেই। অর্থাৎ, এটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি গুজব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এছাড়াও, কাম্বলির কার লোনের বিষয়েও জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল।