বাংলাহান্ট ডেস্ক : জেলার নামকরণ করা হচ্ছিল বি আর আম্বেদকরের নামে। আর তা নিয়েই রণক্ষেত্র অন্ধ্রপ্রদেশ। জেলার এই নামের বিরুদ্ধে প্রথমে প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ ভাবে শুরু হয়েছিল বটে কিন্তু ক্রমাগত বিক্ষোভের আঁচ বাড়তে বাড়তে বর্তমানে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। অবস্থা এতটাই খারাপ যে রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বাড়িতে আগুন অবধি ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এমনকি প্রাণ বাঁচাতে রণে ভঙ্গ দিতে হয় পুলিশকেও।
অন্ধ্রপ্রদেশের নবতম জেলা কোনাসীমা। ইস্ট গোদাবিরী জেলা থেকে আলাদা করে এই নতুন জেলাটি তৈরি করা হয় বিগিত ৪ মে। এরপর ১৮ মে এই নতুন জেলাটির নামকরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। সেই বিজ্ঞপ্তিতে কোনাসীমা জেলার নতুন নামকরণ করা হয় বি আর আম্বেদকর কোনাসীমা জেলা। নতুন জেলার জেলা সদর হিসেবে প্রস্তাবিত হয় আমলাপুরম। ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এহেন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কারও কোনও আপত্তি আছে কি না তা জানতে চায় সরকার। এও বলা হয় যে কারও আপত্তি না থাকলে এক মাস পর প্রকাশ করা হবে এই সম্পর্কিত চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি।
#WATCH | MLA Ponnada Satish’s house was set on fire by protestors in Konaseema district in Andhra Pradesh today, the protests were opposing the naming of the district as Dr BR Ambedkar Konaseema district pic.twitter.com/XzJskKqhz3
— ANI (@ANI) May 24, 2022
কিন্তু এই বিজ্ঞপ্তির ব্যাপারটি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা রাজ্যে। বিষয়টি নিয়ে জনমত তৈরি হতে থাকে নেটমাধ্যমে। এরপরই দফায় দফায় শুরু হয় প্রতিবাদ। বিক্ষোভ। নাম বদলের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করেন সে রাজ্যের মানুষ। মঙ্গলবার রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী পি বিশ্বরূপের বাড়ির সামনে জড়ো হয় উত্তেজিত জনতা। এর পরই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় মন্ত্রীর বাড়িতে। বাধা দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে এলোপাথাড়ি ইট বৃষ্টি।
বিক্ষোভকারীদের সরানোর জন্য লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কিন্তু তাতে আরও খারাপ হয় পরিস্থিতি। জনতার সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে আহত হন কমপক্ষে ২০ জন পুলিশকর্মী। পোড়ানো হয় পুলিশের বহু গাড়ি। আগুন লাগানো হয় একটি স্কুলবাসেও। এছাড়াও পুড়িয়ে দেওয়া হয় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি গাড়ি। মন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারকে আগেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও আস্ত নেই তাঁর বাড়ির একটি আসবাবপত্র। তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেন প্রাণে বেঁচেছেন তাঁরা, নাহলে জনতার হাতে পড়লে আর কোনও মতেই রক্ষা ছিল না তাঁদের এমনটাই দাবি পুলিশ প্রশাসনের। সব মিলিয়ে এখনও বিক্ষোভের যে ভয়াবহ আগুন জ্বলছে অন্ধ্রপ্রদেশে, কবে শান্ত হবে তা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।