‘সবাই ভাবে এত সুন্দর একটা মেয়ে কেন …!’ জোশ টকসে হাপুশ নয়নে কাঁদলেন স্মার্ট দিদি নন্দিনী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেশ অল্প সময়ের মধ্যেই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে গেছেন ভাইরাল গার্ল নন্দিনী গাঙ্গুলী (Nandini Ganguly)। ভালো নাম মমতা গাঙ্গুলী হলেও লোকে তাকে স্মার্ট দিদি (Smart Didi) বলেই বেশি চেনে। কেউ কেউ তো আবার তার নাম দিয়েছেন অ্যাংরি দিদি। ডালহৌসির অফিস পাড়ায় তার পাইস হোটেলের কথা আজকাল লোকের মুখে মুখে। ইউটিউবারদের দৌলতে ভাইরাল হতেও খুব একটা বেশি সময় লাগেনা। ইন্টারনেট দুনিয়ার সেনসেশনে পরিনত হন তিনি।

নন্দিনী দিদির (Nandini Didi) কাছে নেমন্তন্ন পৌঁছে যায় ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ (Didi Number One) থেকেও। আর এখন তো তিনি পৌঁছে গেছেন ছবির দুনিয়াতেও। নিজের পাইস হোটেলের ব্যবসাকেও বড় করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে তার‌। ইতিমধ্যেই দু’দুটো আউটলেটের কাজ নাকি শুরুও হয়ে গিয়েছে। সেই নন্দিনীই এবার পৌঁছে গেলেন জোশ টকসের (Josh Talks) প্ল্যাটফর্মে। জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত নিয়ে কথা বললেন।

এইদিন নন্দিনী বললেন, ‘যখন লকডাউন তখন আমি ছিলাম গুজরাটে। করছিলাম শেফের কাজ। বাবা হঠাৎ ফোন করে বলল, তোমার মা ভীষণ অসুস্থ। আমি ফিরে এলাম কলকাতায়। এসে শুরু করলাম এই পাইস হোটেলে কাজ করা। এখানে যোগ দেওয়ার সময় আঁতকে উঠেছিলাম আমিও প্রথমটায়। যেমন তোমরা দেখেছ, একটা স্মার্ট মেয়ে. টি শার্ট পরা জিন্স পরা, এত সুন্দর দেখতে, শুধুই কি নাম কেনার জন্য পাইস হোটেল চালাচ্ছে?’

আরও পড়ুন : কোহলির শতরান হাতছাড়া হতেই মুখ খুললেন অনুষ্কা! সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলেন বিশেষ বার্তা

এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। স্মার্ট দিদি আরো বললেন, ‘বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে এই ব্যবসায় যোগ দেওয়া। বাবার ব্যবসা চালানো তো সব ছেলেমেয়েরই কর্তব্য। আমার বাবা এটা শুরু করেছিল লকডাউনের ঠিক আগে। আমার বাবার ব্যবসা নষ্ট হয়ে যায় নোটবন্দির সময়। যে বাবা দুই মেয়েকে ইঞ্জিনিয়র বানিয়েছে, আমাকে ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়িয়েছে, সেই বাবা রুটির দোকানেও কাজ করে। তারপর একজনের থেকে ভাড়া নিয়ে শুরু করে পাইস হোটেল।’

আরও পড়ুন : লক্ষ্মীপুজোর আগেই দরজায় রাখুন এই ৫টি গাছ, নিজে পায়ে হেঁটে আসবেন দেবী মা! মানতে হবে এই শুভ দিন

এই স্ট্রাগলের পরেও বহু মানুষ এমনও আছেন যারা নন্দিনীকে নিয়ে ট্রল করতে ছাড়েনন। তার পোশাক আসাক নিয়েও কথা হয় প্রচুর। এই প্রসঙ্গে নন্দিনী বলেন, ‘আমিও মাঝে মাঝে রোস্ট দেখি। হাসি। কেউ খারাপ বললে বলবে, কথাতেই তো আছে কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ। আর আমাকে যারা হিজড়ে বলে কটাক্ষ করো, তারা বলো তো ভাই, হিজড়েরা কি মানুষ নয়? তোমাদের মানসিকতা দেখলে আমাদের খারাপ লাগে।’

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর