‘গিরগিটির মত রঙ বদলায়’, নন্দিনী দিদির কাজে ও কথায় মিল নেই! জুটল ‘মিথ্যাবাদী’ তকমা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েকমাস ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং-এ। ডালহৌসির অফিস পাড়ায় স্মার্ট দিদি নন্দিনীর (Nandini Didi) ভাতের হোটেলের কথা কে না জানে না! শহর এবং শহরতলির লোকজন তো বটেই, হালফিলে ভিনরাজ্য থেকেও লোক আসছে নন্দিনী দিদির হোটেলে। বিশেষ করে বিভিন্ন ফুড ব্লগাররা প্রায়শই এই দোকানে এসে ভিড় করে। পাশাপাশি এই ভাইরাল দিদির ইনস্টাগ্রামেও হাজার হাজার মানুষের ভিড়।

কিছুদিন আগেই নন্দিনীর এক বক্তব্য নিয়ে রীতিমত হুলস্থুল পড়ে গেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এইদিন তিনি এক ইউটিউবারকে বলছিলেন, ‘ভাই তোমরা যারা অনলাইনে যারা রিলস বানাও, ইউটিউবে শর্টস বানাও, আমার জন্য ওগুলো খুব ডিফিকাল্ট’। তবে সত্যিই কি তাই? অন্তত নেটিজনদের তো তেমনটা মনে হচ্ছে না। কারণ তার ইনস্টা প্রোফাইলে ঢুঁ মারলেই দেখতে পাবেন সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র।

নন্দিনী দিদির ইনস্টাগ্রাম জুড়ে রয়েছে নানা ধরণের রিলস ভিডিও। কোথাও তিনি ঠোঁট নাড়ছেন তো কোথাও আবার কোথাও তিনি মাঝরাস্তায় রোম্যান্টিক গানে নাচছেন। যা দেখার পর নেটিজনদের বক্তব্য, ‘নন্দিনী দিদির কথার সাথে কাজের কোনও মিল নেই।’ কেউ কেউ তো আবার কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘এইসব না করে রান্নায় নুন দিন’। তো অপরজন লিখেছেন, ‘এক্সট্রিম ন্যাকামি’।

আরও পড়ুন : ‘৪ ঘন্টা হোটেল রুমে জায়েদ-সায়ন্তিকা’, কী করছিলেন? এবার অভিনেত্রীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন

 

এমনকি এই নিয়ে তো রোস্ট ভিডিও অবধি চলে এসেছে। যেখানে উঠে এসেছে নন্দিনী দিদির টিকটক অ্যাকাউন্টের অজস্র ভিডিও। আর এ থেকেই প্রমাণ যে, নন্দিনী কিন্তু রিল বানাতে আজ থেকে নয়, পটু বহুদিন আগে থেকেই। কারণ নন্দিনী ভাইরাল হওয়ার বহু আগেই টিকটক ব্যান করা হয়েছে। আর বিষয়টা সামনে আসতেই ফুটেজখোর, গিরগিটি এমন নানা ভাষায় কটাক্ষ উড়ে আসছে নন্দিনীর দিকে।

আরও পড়ুন : বিশ্বভ্রমণ করলেও কেন জন্মভূমি কাশ্মীরে পা রাখেননা শাহরুখ খান! কারণটা জানলে চোখে জল আসবেই

 

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই এক সাক্ষাৎকারে নন্দিনী বলেন, ‘দু দিন পর তোরা হয়তো আমাকে এখানে না-ও দেখতে পারিস।’ এরপর অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে, তবে কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ভাইরাল গার্লের ভাতের হোটেল? যদিও এইসব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর তিনি দেননি। বরং তিনি বলেন, ‘বলব, তোদের সবাইকে জানাব। আছে এরকম কিছু জিনিস। তোদের সব ইউটিউবারকেই ফোন করব। বসব। তোদের জন্যই তো আমি আজ এখানে।’