হোটেল বন্ধের নামে পাবলিসিটি স্টান্ট! ব্যাবসা বাড়ানোর নতুন ফন্দি আঁটলেন নন্দিনী দিদি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিনকয়েক আগেই শোনা গেছিল এবার বন্ধ হতে চলেছে স্মার্ট দিদির ভাতের হোটেল (Pice Hotel)। ডালহৌসির অফিসপাড়া থেকে আর আসবেনা নন্দিনী দিদির (Nandini Didi) হাতের রান্নার গন্ধ। সত্যিই কি তাই? কয়েকদিন ধরে এই একটাই প্রশ্ন ঘুরছে মানুষের মুখে মুখে। কেউ কেউ বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত হলেও নেটিজনদের একাংশের দাবি ছিল, এটা কোনো পাবলিসিটি স্টান্ট।

অনেকেই মনে করেছিলেন, নন্দিনী দিদি হয়ত লোকচক্ষুতে আসার জন্যই এমন নাটক করছেন। এমনিও ডালহৌসির এই ভাতের হোটেলের তার হাইভোল্টেজ ড্রামা চলতেই থাকে। ইউটিউবারদের দৌলতে সেটা পৌঁছে যায় নেট নাগরিকদের মুঠোফোনে। এইবার যেমন, নন্দিনী দিদির ভাতের হোটেল বন্ধ হওয়ায় খবরটাও ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় লাগেনি।

   

দিনকয়েক আগে তো মিডিয়াও পৌঁছে গেছিল নন্দিনীর কাছে। তবে যারা নন্দিনী দিদির জন্য চিন্তা করছেন তাদের জানিয়ে দিই টেনশনের কিছু নেই। কারণ ডালহৌসিতে তার দোকান বন্ধ হলেও তিনি নতুন শাখা নিয়ে ফিরছেন উত্তর কলকাতায়। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যা রটেছে সেরকমটা একদমই ঘটছে না। এমনিতেও এই লড়াইটা আজকের না। এটা শেষ ৩-৪ বছরের লড়াই। হুট করে বলল চলে যাও, আর চলে যাওয়া তো যায় না।’

আরও পড়ুন : সুদীপার মাথায় ভেঙে পড়ল দুঃখের পাহাড়! স্বামীকে নিয়ে চরম দুঃসংবাদ, কী হয়েছে অগ্নিদেবের?

হোটেল বন্ধ প্রসঙ্গে নন্দিনীর জবাব, ‘তবে প্রথম থেকে সবাইকেই বলেছি এটা আমার স্থায়ী ঠিকানা নয়। এখানে আমি ভাড়া নিয়ে কাজ করেছি। হ্যাঁ আগে হলে আমি হয়তো চাকরি জীবনে ফেরত যেতাম। এখন আর চাকরি জীবনে ফেরত যাব না। আরেকটা কিছু শুরু করব। অবশ্য আরেকটা নয়, আরও বহু। তবে রেস্তোরাঁ নয়, পাইস হোটেলই খুলব।’ জানা যাচ্ছে, উত্তর কলকাতায় এবং নিউ টাউনে, অর্থাৎ মোট দুটো শাখা আসতে চলেছে তার হোটেলের।

আরও পড়ুন : ব্রেক আপ নিয়ে স্পিকটি নট! পুজোর আগেই আলাদা হলেন টলিউডের এই ৫ জুটি

maxresdefault (17)

আসলে দিনকয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে নন্দিনী দিদি বলেছিলেন, ‘যখনই দেখি না কেউ বাড়ছে, আমরা তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করি। তবে কথাতেই তো আছে রাখে হরি মারে কে। কপালে যা আছে তা তো হবেই। বলব, বলব… তোদের সবাইকে জানাব। আছে এরকম কিছু জিনিস। তোদের সব ইউটিউবারকেই ফোন করব। বসব। তোদের জন্যই তো আমি আজ এখানে।’ দিদির এই কথা শুনে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, এবার হয়ত হোটেল বন্ধ করতে চলেছেন তিনি।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর