বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে নেটপাড়ায় কান পাতলেই যে গান শোনা যাচ্ছে তা হল ‘কাঁচা বাদাম’। দুবরাজপুরের বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকরের লেখা এবং গাওয়া এই গান এখন একাই রাজত্ব করছে নেটদুনিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় গান ভাইরাল (viral song) হওয়া কোনো নতুন ব্যাপার নয়। মাস কয়েক আগেই তুমুল ভাইরাল হয়েছিল মানিকে মাগে হিতে। শ্রীলঙ্কার সেই গায়িকা যেমন কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন তেমন বলিউডেও গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
কিন্তু ভুবনের বেলায় তেমন কিছুই হয়নি। তার পরিশ্রমই সার হয়েছে। লাভের গুড় খেয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা। তাই অসহায় ‘বাদাম কাকু’র পাশে দাঁড়িয়ে হাল ধরলেন ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা (sandy saha)। তিনি নিজেও কাঁচা বাদামের সুরে নেচে ভিডিও বানিয়েছেন। ঘটা করে বাদাম কাকুকে বিয়েও করেছেন।
এবার স্যান্ডির পাশে দাঁড়িয়েই নতুন গান বাঁধলেন ভুবন বাদ্যকর। ভাইরাল বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে তাঁর গ্রামে গিয়েছিলেন স্যান্ডি। সেখানে গিয়ে নিজের কনটেন্টও যেমন বানিয়েছেন তেমনি ভুবন বাদ্যকরের হয়ে বিশেষ আর্জিও জানিয়েছেন। একটি ভিডিওতে ভুবনের নতুন গান ‘আমি বাদাম বেচে খাই’ ভাইরাল করার আবেদন করেছেন স্যান্ডি। সেই সঙ্গে আগের গানটির মতো এই গানের কপিরাইট নিয়ে যাতে কোনো গণ্ডগোল না বাঁধে সে আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদামের সুরে পাগল নেটবাসী। বানানো হচ্ছে দেদারে রিল ভিডিও। রিমিক্স হচ্ছে গান। কিন্তু ইউটিউবার বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা জনপ্রিয় হয়ে টাকা পেলেও গানের আসল স্রষ্টা ভুবন বাদ্যকর পাননি কিছুই। সম্প্রতি দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনাটা মনে করিয়ে দেয় ‘বড়লোকের বিটি লো’ বিতর্কের কথা। বাংলার প্রবীণ শিল্পী রতন কাহারের গানকে বেমালুম রিমিক্স করে নিজের বলে চালিয়ে দিচ্ছিলেন র্যাপার বাদশা। এমনকি কোনো কৃতিত্বও দেননি আসল শিল্পীকে। বঞ্চিত হয়েছিলেন রতন কাহার। বিষয়টা নিয়ে বিক্ষোভ তুঙ্গে উঠলে দোষ স্বীকার করে রতন কাহারের সঙ্গে কথা বলেন বাদশা।
পরে পরিচালক অরিন্দম শীল নতুন ভাবে বানান ‘বড়লোকের বিটি লো’ মিউজিক ভিডিও। সেখানে গাইতে দেখা গিয়েছিল রতন কাহারকেও। এবার ‘কাঁচা বাদাম’এর ক্ষেত্রেও আসল শিল্পী তার যোগ্য সম্মানটা পান এটাই কামনা।