বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যেমন কোভিড ঢেউয়ে মৃত্যু ভয়ে আতঙ্কিত মানুষ। তেমনি অন্যদিকে কোভিড কেড়ে নিয়েছে মানুষের আরেকটি বড় সম্বল। সামাজিক সম্পর্ক ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। একে অপরের হাত ধরে খানিকটা পথ চলা এরই তো নাম জীবন। কিন্তু মহামারীর ঠেলায় সম্পর্ক রক্ষাই এখন হয়ে উঠেছে বড় দায়। করোনার প্রথম ঢেউ তো এমন কিছু মর্মান্তিক দৃশ্য আমাদের চোখের সামনে এনে দিয়েছিল যা দেখলে রীতিমতো শিহরিত হতে হয়। বাবার মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করতে আসছে না সন্তান। মরণাপন্ন বাবাকে জল দিতে যাওয়া মেয়েকে টেনে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে মা। সবমিলিয়ে মনে হতে পারে ছিঁড়ে যাচ্ছে সম্পর্কের সামাজিক সুতোটাই। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তেই বড় শিক্ষা দিয়ে গেল দুটি কুকুরের একটি ভাইরাল ছবি। অনেক সময় মানুষের সমাজকে বড় শিক্ষা দিয়ে যেতে পারে ইতর প্রাণীরাও। সেই সূত্র ধরেই আপনাকে আরেকবার আবেগের বন্যায় ভাসিয়ে দিতে পারে এই ছবি।
ছবিটি তোলা হয় এক পশু হাসপাতালে। দেখা যাচ্ছে, অসুস্থ একটি কুকুরের সামনের পায়ে লাগানো রয়েছে ড্রিপ। আর তার সামনেই বসে আছে আর একটি কুকুর। অনেকটা যেন হাতে হাত রেখে বলতে চাইছে পাশে আছি। কোভিডের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যখন আলগা হয়ে এসেছে সম্পর্কের সূত্রগুলো, তখন আরেকবার সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনদের আবেগি করে তুললো এই ছবিটি। করোনাকালে হয়তোবা সরাসরি পাশে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আপনিই তো হয়ে উঠতে পারেন মানসিকভাবে ভেঙে পড়া কোন মানুষের আবারও স্বপ্ন দেখার কারণ। এই মহামারিতে যতটা সম্ভব সাহায্য করুন আপনার পাশে থাকা মানুষটিকে। করোনার এই মহামারীকালে আরো অনেক বড় মহামারী হয়ে উঠেছে ডিপ্রেশন। যার কবলে পড়ে এমনকি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। তাই মানসিকভাবে তাদের সাথে দাঁড়ানো এখন একান্ত জরুরী। এইবার তাই বোধহয় আরেকবার দিয়ে গেল এই ছবিটি।
https://twitter.com/susantananda3/status/1392698158744891393?s=19
নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সকলের জন্য এই ছবিটি শেয়ার করেন আইএফএস আধিকারিক সুশান্ত নন্দ। বনবিভাগের অফিসার হওয়ায় বন্যপ্রাণীদের সুন্দর সুন্দর ভিডিও প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তিনি। এই ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকার জন্য আমাদের একটি মনের দরকার। ” সেই মানসিকতারই অনেকটা বিকৃতি ঘটিয়ে দিয়েছে করোনার এই মহামারী। সংক্রমনের ভয় গ্রাস করেছে এতটাই যে বাইরে পা রাখতেই ভয় পাচ্ছেন মানুষ। তবে সচেতনতা ও নিজের সুরক্ষা বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে দরকার পাশের মানুষটির জন্য এগিয়ে আসা। যতটুকু সম্ভব আপনার পক্ষে হাত বাড়ান ততটাই, দেখবেন অন্য কেউ ঠিক রয়েছে সেই হাত ধরার অপেক্ষায়।