দেশ প্রেমের নেশা! সেনায় যোগ দিতে ৩৫০ কিমি দৌড় যুবকের! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে প্রশংসা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কথায় আছে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। অর্থাৎ কোনো কাজে গভীর মনযোগ দিলে তাতে নিশ্চিতভাবে সফল হতে পারবেন যে কেউই। সমস্ত অজুহাত এবং প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখেই যে লক্ষ্যপূরণ সম্ভব তা আরও একবার প্রমাণ করে দেখালেন রাজস্থানের এক যুবক। দৌড়ের মাধ্যমেই ৩৫০ কিলোমিটারের দূরত্ব অতিক্রম করেছেন তিনি। তাতে তাঁর মোট সময় লেগেছে ৫০ ঘন্টা। ওই যুবকের নাম হল সুরেশ ভিচার।

এদিকে, সেনাবাহিনীতে দীর্ঘদিন ধরে শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। গত দু’বছর ধরে নতুন করে নিয়োগের প্রক্রিয়াও রয়েছে স্থগিত। এমতাবস্থায়, অনেকেরই নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন তাঁদের অধরা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যার জেরে কিছু কিছু জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভও।

এই প্রসঙ্গে সুরেশ জানিয়েছেন,” বর্তমানে আমার বয়স হল ২৪ বছর। আমি নাগৌর জেলা (রাজস্থান) থেকে এসেছি। আমার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করার স্বপ্ন রয়েছে। কিন্তু, বিগত ২ বছর ধরে নিয়োগ হচ্ছে না। যার ফলে নাগৌর, সিকর, ঝুনঝুনুর যুবকদের বয়সও পেরিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই আমি দৌড়ে দিল্লিতে এসেছি তারুণ্যের চেতনা বাড়াতে।”

জানা গিয়েছে, সুরেশ গত ২৯ মার্চ থেকে দৌড় শুরু করেন। তিনি প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে গত ২ এপ্রিল দিল্লিতে পৌঁছেছিলেন। পাশাপাশি, সুরেশের দৌড়ানোর মাধ্যমে এই বিশাল দূরত্ব অতিক্রমের একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে নেটমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে জাতীয় পতাকাকে সঙ্গে করেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন তিনি। এদিকে, এই ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরাও। পাশাপাশি, তাঁর এই অভিনব উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি নেটমাধ্যমে ঠিক এইরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে দেখা যায় যে, উত্তরাখণ্ডের ১৯ বছর বয়সী প্রদীপ মেহরা নামের এক যুবক মধ্যরাত্রে দৌড়ানোর মাধ্যমেই কাজের শেষে বাড়ি ফিরছেন। তিনিও সেনাবাহিনীর পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন সেখানে। বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক বিনোদ কাপরি ভিডিওটি রেকর্ড করে তা জনসমক্ষে নিয়ে আসেন। এই ভিডিওটিও প্রশংসা কুড়িয়েছিল নেটিজেনদের।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর