লকআপ থেকে পালিয়েছিল আসামী, ফের ধরা পড়ে পুলিশকে দিল Live Demo! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই আমরা প্রায়শই জেল থেকে বন্দিদের পালানোর খবর শুনতে পাই। যার জেরে তাঁদের ওপর নজরদারিতে সর্বদা তৎপর থাকে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীরা। কিন্তু, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারপরেও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে সক্ষম হন বন্দিরা। তবে, এবার মহারাষ্ট্রে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা দেখে রীতিমত চোখ কপালে উঠেছে সবার।

একজন বন্দি লকআপের চাবি না ভেঙেই পালাতে সক্ষম হন সেখানে! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঠিক এইরকমই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন এক বন্দি। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে নেটমাধ্যমে। আর তা দেখেই অবাক হয়েছেন সকলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মানেই সেখানে হাজার হাজার ভাইরাল ভিডিওর ভিড় পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু, সেগুলির মাঝেই এমন কিছু ভিডিও থাকে যেগুলি সচেতন করতে সাহায্য করে সবাইকে। এই ভিডিওটিও ঠিক সেই ক্যাটাগরিতেই পড়ে।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি থেকে জানা গিয়েছে যে, মহারাষ্ট্রের পুনে সংলগ্ন পিমপ্রি-চিঞ্চওয়াড়ের চাকান থানা থেকে একজন অভিযুক্ত লকআপ থেকে পালিয়ে যান। তবে, তালা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও তিনি কীভাবে সেখান পালিয়ে গেলেন তা নিয়ে পুলিশও অবাক হয়ে যায়। এদিকে, পুলিশ ফের সেই অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়।

সেখানেই ওই আসামী কিভাবে লকআপ থেকে বেরিয়ে এলেন সেই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই রীতিমত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সকলের। ওই অভিযুক্ত যুবক পুলিশের সামনেই চাবি ছাড়াই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন লকআপ থেকে। আর এই ঘটনাটিকেই ভিডিওর মাধ্যমে পোস্ট করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওখানে দেখা যায় যে, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই লকআপ থেকে বেরিয়ে আসেন ওই অভিযুক্ত।

আসলে ওই আসামী এতটাই রোগা ছিলেন যে, তিনি সহজেই লকআপের বারের মাঝখানের ফাঁক থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। যার ফলে কোনো শব্দ বা কোনো চাবি ছাড়াই তিনি পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন। আর এই ঘটনার পরই পুলিশ আরও সতর্ক হয়ে যায়। পাশাপাশি, এই ব্যাপারে সব থানাকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, নেটমাধ্যমে আপাতত ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে এই ভিডিওটি। সকলেই এমন ভিডিও দেখে চমকে গিয়েছেন। এছাড়াও, অদ্ভুত এই কর্মকান্ড চাক্ষুস করতে পেরে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর