বাংলাহান্ট ডেস্ক : লাভ জিহাদের নামে এক মহিলা এবং তাঁর পুরুষ সঙ্গীকে ট্রেন থেকে টেনে নামিয়ে মারধর এবং হেনস্তার অভিযোগ উঠল বজরং দলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ঊজ্জ্বয়িনী রেল স্টেশনে। ঘটনাটির একটি ভিডিও সামনে আসতেই তীব্র হইচই দেশ জুড়ে।
গত ১৫ জানুয়ারি ট্রেনে একসঙ্গে সফর করছিলেন ওই হিন্দু মহিলা এবং তাঁর মুসলমান সঙ্গী। হঠাৎই ট্রেন থেকে নামিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয় এক দল লোক। মহিলার সামনেই বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁর সঙ্গীকে। এর দুদিন পর স্যোশাল মিডিয়ায় সামনে আসে ঘটনার ভিডিও। সেই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘আর একটি লাভ জেহাদের ঘটনা হওয়ার আগেই রুখে দিল বজরং দল। বিবাহিত আব্দুলকে হাতে নাতে ধরে ফেলল তারা’।
জানা যাচ্ছে ওই যুবকের নাম আদৌ আব্দুল নয়। পেশায় ইলেকট্রনিকস জিনিসের ব্যবসায়ী ওই যুবকের নাম আতিফ শেখ। ইন্দোরের বাসিন্দা তিনি। তাঁর সঙ্গের মহিলা একটি বেসরকারি স্কুলের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে শিক্ষিকা। তাঁরও বাড়ি ইন্দোরেই। দুজন দীর্ঘদিনের পরিচিত এবং তাঁদের মধ্যে দূরসম্পর্কের আত্মীয়তা রয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
এই যুবক যুবতীকে হেনস্থা ও মারধর করার পর সারারাত থানায় বসে থাকতে বাধ্য করে বজরং দল। দুজনের বাবা মা এসে বয়ান দিলে অবশেষে ছাড়া হয় তাঁদের। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি আক্রান্ত যুবক যুবতী। কিন্তু একটি ভিডিওতে ওই মহিলা বলেন, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমাদের হেনস্থা করা হল। আমার জীবন নষ্ট করা হল। আমার ভিডিয়ো করলেন। এ সব করার আগে আপনাদের কি এক বার আমার অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল না? আমি তো একজন প্রাপ্তবয়স্ক!’
https://twitter.com/Saffron_Smoke/status/1482968920386850818
এই ঘটনার ব্যাপারে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বজরং দলের তরফে। তবে ঘটনার সময় ঊজ্জ্বয়িনী স্টেশনের পুলিশ কর্মী এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা কোথায় ছিলেন, কেন কোনো ভূমিকা নেননি তাঁরা তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট