বৃষ্টি হলেও চলবে বিয়ে! ত্রিপল দিয়ে নিজেদের ঢেকে কনের বাড়ি চললেন বরযাত্রীরা! তুমুল ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিয়েবাড়ি মানেই প্রত্যেকের কাছেই এক আনন্দের অনুষ্ঠান। নির্দিষ্ট ওই দিনটির জন্য রীতিমতো অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন সকলেই। এমতাবস্থায় বৃষ্টির জন্য এই আনন্দ কি পন্ড হতে দেওয়া চলে? সেইজন্যই এক অভিনব বুদ্ধি বার করলেন একদল বরযাত্রী। আর এই ঘটনার প্রসঙ্গই এবার সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও তুমুল গতিতে ভাইরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে।

এমনিতেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাহ সংক্রান্ত একাধিক ভিডিও আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি। কখনও বিয়ের আনন্দে বরের চোখে জল, আবার কখনও বা বিয়ের মঞ্চেই নববিবাহত দম্পতির মারপিট, সবকিছুই প্রত্যক্ষ করেছি আমরা। কিন্তু তা বলে, তুমুল বৃষ্টিতে ত্রিপলের ভরসায় কখনও বরযাত্রীদেরকে যেতে দেখেছেন? সবাইকে অবাক করে এবার সেই দৃশ্যটিও সামনে এসেছে। যা রীতিমতো ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে আমাদের দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রকোপ দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, দিল্লি, মুম্বাই, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কেরালার মত রাজ্যগুলিতে দাপিয়ে হচ্ছে বৃষ্টি। আর ঠিক সেই আবহেই ইন্দোর থেকে উঠে এল এই নজিরবিহীন দৃশ্য।

কি দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে?
মূলত, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই একদল বরযাত্রী রওনা দিয়েছেন কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে। গান-বাজনা সহ এক্কেবারে রাজকীয়ভাবেই তাঁরা যাচ্ছিলেন। এমনকি, বেশ কয়েকজনকে নাচতেও দেখা যায় সেখানে। এমতাবস্থায়, বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে তাঁরা একটি প্রকান্ড হলুদ রঙের ত্রিপল দিয়ে নিজেদেরকে ঢেকে নেন এবং নিশ্চিন্তে হাঁটতে থাকেন। এদিকে, ওই বিরল দৃশ্য দেখেই রীতিমতো হুঁশ উড়ে যায় সেখানে উপস্থিত লোকজনের। আর সেই দৃশ্যই দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত তিন দিনে আবহাওয়া দফতর দ্বিতীয়বারের জন্য ইন্দোরে কমলা সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি, আবহাওয়াবিদ আশিস চৌহান জানান, চলতি মরশুমে শহরে মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮.৮ ইঞ্চি। শুধু তাই নয়, গত মঙ্গলবার শুধুমাত্র তিন ঘণ্টায় সেখানে ৩.৬ ইঞ্চি বৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায়, আবহাওয়া দফতরের মতে, ইন্দোরে আগামী এক সপ্তাহ ধরে বজ্র-বিদ্যুৎসহ তুমুল বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর