বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক দিনদিন বেড়েই চলেছে। আর এই বিক্ষোভের আগুন এখন গোটা ভারতেই ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এই বিক্ষোভের আগুন দেখা গিয়েছে। অনেকেই হিজাবের সমর্থনে কলকাতার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলে মেয়েদের কালো ওড়না পরে ঢুকতে না দেওয়ায় শিক্ষকদের বন্দি করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।
তবে শুধু ভারত বা পশ্চিমবঙ্গে সীমাবদ্ধ না এই বিক্ষোভের আগুন। এবার এই বিতর্কের ঝড় আছড়ে পড়ল বাংলাদেশেও। প্রতিবেশী দেশে কর্ণাটকের স্কুলে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরে ঢুকতে না দেওয়ায় মুসলিম সংগঠনগুলো বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। তবে, সেখান থেকে শুধু প্রতিবাদই জানানো হয়নি, সেখান থেকে সেই দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা গিয়েছে।
বাংলাদেশের চরমোনাই পীরের দলের কেন্দ্রীয় যুব সভাপতি মাওলানা মোঃ নেছার উদ্দিনকে কর্ণাটক হিজাব মামলায় সেই দেশের হিন্দুদের হুমকি দিতে দেখা যায়। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, কর্ণাটকে যদি মুসলিম পড়ুয়াদের স্কুল, কলেজে হিজাব পরে ঢুকতে না দেওয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের পৈতে পরা চলবেনা! মাথায় সিদুঁর দিয়ে রাস্তায় হাঁটতে দেওয়া হবেনা হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের।
মোঃ নেছার উদ্দিন বলেন, ‘এটা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ, কন্ঠ কিভাবে স্তব্ধ করে দেওয়া যায় সেই পথ মুসলমানরা ভালো করে জানে।” বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া এই প্রতিবাদের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন সেদেশের জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক গৌতম হালদার প্রান্ত। ওনার শেয়ার করা এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। আর এরপরই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।