মালাবদলের সময় “ভারত মাতা কি জয়” স্লোগান, অস্বস্তিতে বরকনে! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এমনিতেই বিয়ে বাড়ি মানে সেখানে যে দেদার আনন্দ এবং হই-হুল্লোড় হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। পাশাপাশি, প্রত্যেকেই চান বিয়েবাড়িতে এমন কিছু ঘটনা ঘটুক যা সারাজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে! তবে, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ভাইরাল ভিডিওর বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যায়। আর ওই ভাইরাল ভিডিওগুলির মধ্যে একটা বড় অংশ জুড়েই থাকে বিয়ে বাড়ি সংক্রান্ত নানান অদ্ভুত সব ঘটনার দৃশ্য। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সকলের।

বর্তমান সময়ে কিছু কিছু বিয়ে বাড়িতে এমন সব ঘটনা ঘটে বা বলা ভালো এমন কিছু ঘটনা ঘটানো হয় যা নেটমাধ্যমে ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়না। আর যার জেরে জনপ্রিয় হয়ে যান উপস্থিত বর-কনেও। এমনিতেই বিয়ে বাড়ি মানে সেখানে বন্ধুদের উদ্ভট কারসাজি লেগেই থাকে, কিন্তু মাঝে মাঝে তা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যা কল্পনাও করতে পারেন না অনেকে।

এছাড়াও, অনেকেই মজার ছলে বলেন যে, বিয়ে করলেই সিঙ্গেল লাইফের মজা আর থাকেনা। যার ফলে ওই জীবন থেকে একপ্রকার “শহীদ” হয়ে যান বর-কনে। কিন্তু, তা বলে বিয়েবাড়িতেই “ভারত মাতা কি জয়” স্লোগান বলতে শুনেছেন কখনও? হ্যাঁ, শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও সম্প্রতি এইরকমই এক উদ্ভট ঘটনার ভিডিও সামনে এসেছে নেট মাধ্যমের দৌলতে। আর সেটাই এখন রীতিমত চর্চার বিষয়ে হয়ে উঠেছে।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, বিয়ে চলাকালীন ঠিক মালাবদলের সময়ে বরের বন্ধুরা সম্মিলিত ভাবে স্লোগানের মাধ্যমে বলতে থাকেন “ভারত মাতা কি জয়”! এদিকে, ওই সময়ে এহেন স্লোগানে হতচকিত হয়ে যান সকলেই। পাশাপাশি, চরম অপ্রস্তুতে পড়েন উপস্থিত পাত্র-পাত্রী। যদিও, একনাগাড়ে ওই স্লোগান চালিয়ে যান বন্ধুরা। আর এই ভিডিওর ঘটনাই তুমুল ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পর এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখেছেন ভিডিওটি। পাশাপাশি, বিয়েবাড়িতে এই স্লোগানের ব্যবহার দেখে হাসির রোলও উঠেছে নেটিজেনদের মধ্যে। মোট ১৭ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি প্রায় ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষ লাইক করেছেন। পাশাপাশি, ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ৩৯ হাজারেরও বেশি বার। এছাড়াও, ভিডিওটি দেখে নেটিজেনরা তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি বরের বন্ধুদের রসিকতারও প্রশংসা করেছেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর