বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুই ছাত্রীর চুলোচুলিতে তোলপাড় হাওড়ার স্কুল। মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে এই হাতাহাতির জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই দুই ছাত্রীকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগদীশপুরের একটি স্কুলে।
জানা যাচ্ছে, জগদীশপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীতে পাঠরতা ওই দুই ছাত্রী। এদিন স্কুলে যাওয়ার পর কোনো একটি ব্যক্তিগত কারণে বচসা লাগে তাদের দুজনের মধ্যে। এর পরই চুলোচুলি বাঁধে দুজনের। ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রীদের দাবি, ক্লাসে শিক্ষক না থাকার তৃতীয় ও চতুর্থ পিরিয়ডের মাঝখানে কাউকে একটা ফোন করা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। তারপর সেই ঝামেলা রূপ নেয় হাতাহাতির।
স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় পুরো ঘটনাটির ভিডিও। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে বন্ধ ছিল স্কুল কলেজ। সদ্য খুলেছে স্কুলের দরজা। এহেন অবস্থায় ওই দুই ছাত্রীর কাণ্ডে রীতিমতো তাজ্জব এলাকাবাসী। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর দুজনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সাসপেন্ড করা হয় দুই ছাত্রীকেই। স্কুলের মধ্যে তাদের কাছে কীভাবে এলো মোবাইল ফোন, কেনই বা শুরুতেই বিষয়টি নজরে পড়ল না শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তা নিয়ে একাধিক মহলে উঠছে প্রশ্ন। অনেকেরই অবশ্য এর প্রেক্ষিতে পালটা দাবি অনলাইন ক্লাসের কারণে মোবাইল ফোনে আশক্ত হয়ে গেছে ছাত্রছাত্রীরা। তার ফলেই স্কুলে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে আজকাল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে স্কুলে হাতাহাতির কারণে শিরোনামে এসেছিল আরও একটি স্কুল। তবে সেখানে ছাত্রছাত্রীরা নয়, হাতাহাতি করতে দেখা গেছিল দুই শিক্ষককে। কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ভুগোল শিক্ষকের তুমুল হাতাহাতিতেও রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে।