কিছুদিন আগেই কেরালায় হাতি হত্যার ভিডিও ভাইরাল (viral video) হয়েছিল। গর্ভবতী হাতিটিকে বাজি ভর্তি আনারস খাইয়ে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল মৃত্যুর মুখে। এবার ফের এমনই পশু অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ভোপাল (bhopal) থেকে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক যুবক, আনুমানিক বয়স ২৩-২৪ বছর রাস্তার কুকুরদের গভীর জলে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। ভিডিওটির সাথে যুক্ত করা হয়েছে একটি জনপ্রিয় হিন্দি গানও। যার লিরিক্সে বলা হচ্ছে ‘তেরা বাপ আয়া’।
ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হতেই আগুনের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। নেটিজেনরা রাগে ফেটে পড়ে এই যুবকের ওপর। নেট পাড়া ও বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন ইতিমধ্যেই যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন।
ভিডিওটি ভাইরাল হতেই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে ভোপাল পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামস্নেহী মিশ্র জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৯ ধারায় (যে কোনও প্রাণীকে হত্যা করে বা দোষ দিয়ে দুষ্টামি) মামলা করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ ব্যাপারটিকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় হিসাবে দেখতে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামির অবস্থান শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। যদিও তিনি এর থেকে বেশি বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি।
https://youtu.be/XuuA0xz15yE
এর আগে
কেরলের মালাপ্পুরম জেলায় বাজিভর্তি আনারস খাইয়ে হত্যা করা হল এক গর্ভবতী হাতিকে। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুনের মত ছড়িয়ে পড়ার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। সাধারন মানুষ থেকে তারকা সকলেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই পাশবিক ঘটনা দেখে। আঁকা ছবি, কার্টুন, লেখায় বারে বারে উঠে আসছে হাতিটির প্রতি মানুষের অত্যাচারের কথা।
ঠিক তারপরই, ২৬ জুন শুধু অন্য বানরদের ভয় দেখানোর জন্য গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ঐ বানরটিকে। সেই নৃশংস ঘটনার ভিডিও করে তা সামাজিক মাধ্যমে আপলোডও করা হয়েছিল। ভিডিওটি ভাইরাল হলে তা বন দপ্তরের নজরে আসে এবং তারা তদন্ত শুরু করে।
তদন্তে নেমে জানা যায়, গত কয়েকদিনে সাথুপল্লী ও আশেপাশের অঞ্চলে বানরদের উৎপাত ভীষণ বেড়ে যায়। তাই বানরদের শায়েস্তা করার জন্য তিন ব্যক্তি এক বানরকে ফাঁদ পেতে ধরে ফেলেন। তারপর প্রকাশ্যে গাছের ডালে ফাঁসি দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়৷ তারা ভেবেছিলেন এই দৃশ্য দেখে বানররা আর উৎপাত করবে না।