বর্তমান যুগের থেকেও অনেক বেশি সুবিধা, ৬৬ বছরের পুরনো ফ্রিজের ভাইরাল ভিডিও নজর কাড়ছে সবার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে আমরা বাড়িতে এমন কিছু বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করি যেগুলিকে ছাড়া দৈনন্দিন জীবন আমরা ভাবতেও পারিনা। পাশাপাশি, প্রতিদিনই সেগুলি ব্যবহার করেন সবাই। আর সেগুলির মধ্যেই অন্যতম একটি জিনিস হল ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর (Refrigerator)। বিশেষত গরমের দিনে ফ্রিজের ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যায়। এমতাবস্থায়, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবং গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এখন আরও উন্নত ধরণের রেফ্রিজারেটর বাজারে উপলব্ধ হয়েছে।

এদিকে, রেফ্রিজারেটর কেনার সময়ে সকলেই চান একটু বড় ধরণের ফ্রিজ কিনতে। কারণ, সমস্ত জিনিসপত্র ঠিকঠাক ভাবে ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে বড় ফ্রিজ যথেষ্ট কার্যকরী। এমতাবস্থায়, আজ আমরা এমন একটি ফ্রিজের প্রসঙ্গ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো যেটিকে দেখলে আপনার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে।

মূলত, সম্প্রতি একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মে একটি ফ্রিজের বহু পুরোনো বিজ্ঞাপন নতুন করে ভাইরাল হচ্ছে। যেটিতে বর্তমান সময়ের এত উন্নত ফিচার্স না থাকলেও সেটি নজর কেড়েছে এক আলাদা কারণে। আর সেই কারণেই বর্তমান ক্রেতারাও এই ফ্রিজটি পাওয়ার জন্য রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন।

ভিনটেজ রেফ্রিজারেটর ( Vintage Refrigerator):
মূলত, ১৯৫৬ সালের ওই বিজ্ঞাপনে দেখানো ফ্রিজটি হল ফ্রিজিডায়ার (Frigidaire) কোম্পানির। সেটিতে ঠান্ডা পানীয়, জলের বোতল, সবজি, মাখন ইত্যাদি রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। বিশেষ করে সেখানে থাকা ভেজিটেবল র‍্যাকের সাহায্যে আপনি খুব সহজেই তা বের করে সবজি ধুয়ে নিতে পারবেন।

এদিকে, এই রেফ্রিজারেটরে পর্যাপ্ত জায়গার পাশাপাশি বরফের টুকরো সহজে অপসারণের জন্য একটি পদ্ধতি দেওয়া হয়েছে। যার ফলে খুব সহজেই বরফের টুকরো বের করা সম্ভব হয়। এমতাবস্থায় এই ছোট্ট ফ্রিজে এত ফিচার্স দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন সবাই। সর্বোপরি, এত পুরোনো ফ্রিজেও যে এই ফিচার্সগুলি থাকতে পারে তা জানার পরেই আরও বেশি স্তম্ভিত হয়েছেন নেটাগরিকরা।

এদিকে, এই সংক্রান্ত ভিডিওটি সামনে আসার পরেই ফ্রিজিডায়ার কোম্পানির ওই ফ্রিজ উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। উল্লেখ্য, যে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পাশাপাশি, অন্যান্য যুদ্ধের ক্ষেত্রেও আমেরিকার জন্য অস্ত্র তৈরি করেছিল। এমতাবস্থায়, এই পুরোনো ফ্রিজ দেখে সেটি পাওয়ার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। এছাড়াও, তাঁরা নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানাতে থাকেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর