এটা কি গাছ নাকি সোনার গাছ? ৮০০ বছরের পুরনো এই গাছ, দেখতে ছুটছে জনে জনে মানুষ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পৃথিবীতে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যার রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে কাল ঘাম ছুটে যায় বিজ্ঞানীদের। জায়গা তো রয়েইছে সেইসাথে রয়েছে গাছপালা (Ginkago Tree)। যদিও আমাদের পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের অবকাশ কমে আসছে। কারণ সময় যত এগোচ্ছে ভূপৃষ্ঠ থেকে বনভূমি, গাছপালার সংখ্যা কমে আসছে। আর এর পিছনে দায়ী একমাত্র এই মানবজগত। কিন্তু এর মাঝে এমনই একটি গাছ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যা বলার বাইরে। এটি গাছ নয়, সাক্ষাৎ “স্বর্ণ উদ্ভিদ” অর্থাৎ “গোল্ড ট্রি”। এক ঝলকে বুঝতেই পারবেন না, এটি একটি সাধারণ গাছ। এই গাছের নাম “জিঙ্কগো ট্রি” (Ginkago Tree)।

কি এই জিঙ্কগো ট্রি (Ginkago Tree):

সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এই গাছকে “বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর গাছ” বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর সেই গাছটির নামই হচ্ছে জিঙ্কগো ট্রি (Ginkago Tree)। এই গাছটি দক্ষিণ কোরিয়ার বাংয়েরি গ্রামে অবস্থিত। গাছটি দেখতে পুরো সোনার মত হলুদ। যার ফলে অনেকেই একে গোল্ড ট্রি বলে মনে করেন।

Viral Video gold tree of Ginkago tree situated South korea

জানা গিয়েছে জিঙ্কগো ট্রি (Ginkago Tree) নাকি ৮০০ বছরের পুরনো। শুনতে অবাক লাগলেও সমাজ মাধ্যম থেকে এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই গাছের সৌন্দর্য দেখে যে কেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য। তাই দক্ষিণ কোরিয়ার বাংয়েরি গ্রামে হামেশাই এই গাছ দেখার জন্য ভিড় লেগে থাকে। প্রচুর প্রচুর পর্যটকরা শুধুমাত্র এই গাছের টানেই ছুটে আসেন।

আরও পড়ুন : সাবধান! বাইকে ১০০,২০০ টাকার পেট্রোল ভরালেই চরম লস! মাথায় রাখুন এই ট্রিকসটি, পস্তাবেন না

জিঙ্কগো ট্রিকে ঘিরে বিশেষ কিছু কাহিনী:
সমাজমাধ্যমে মাত্র ১০ সেকেন্ডের এই ভিডিওটিতেই দেখা যাচ্ছে আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে অসংখ্য মানুষ। জিঙ্কগো ট্রিকে (Ginkago Tree) ঘিরে নাকি বিভিন্ন গল্পও রয়েছে। বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যমে সেই গল্পের কথাও প্রকাশ করা হয়। কেউ কেউ বলেন এই গাছের জন্ম নাকি, সিলা রাজবংশের সময়, যে রাজবংশের সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ৫৭ থেকে ৯৩৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। আবার কেউ বলেন, সিলা রাজবংশের শেষ রাজার ছেলে ক্রাউন প্রিন্স মাউই সন্ন্যাস জীবনের জন্য মাউন্ট কুমগ্যাংয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন। আর তখন যাবার সময় এই গাছ রোপন করে গিয়েছিলেন। আর সেই চারাই আজ বৃহদাকার বৃক্ষে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন : বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতেই ইতিহাস গড়বেন অশ্বিন! জানলে হয়ে যাবেন “থ”

শুধু এই গল্পই নয়, অনেকে আবার বিশ্বাস করেন এই গাছ নাকি ডাইনোসরের যুগ থেকে পৃথিবীতে রয়েছে। অর্থাৎ এই গাছ নিয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকমের ধারণা রয়েছে। এমনকি এই গাছ নিয়ে বিজ্ঞানীরাও কয়েক দশক ধরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখনো সেই বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এই জিঙ্কগো ট্রির (Ginkago Tree) ইতিহাস যে বহু পুরনো সে কথা জানা গিয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানান এই গাছের সোনার মতো উজ্জ্বল পাতা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।। বিশেষ করে চিনে ওষুধ তৈরিতেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত। সমাজ মাধ্যমে এই ভিডিও ভাইরাল না হলে জানাই যেত না যে পৃথিবীর বুকে এমনও কোন গাছ রয়েছে। ইতিমধ্যে এই ভিডিওর দর্শক সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছে। গাছ নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য ভেসে এসেছে কমেন্ট বক্সে। সকলেই এই জিঙ্কগো ট্রির (Ginkago Tree) অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখে রীতিমতো প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

 

ad

Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর