মুখে ধর্মীয় স্লোগান, হাতে ধারালো অস্ত্র! জানুন কে এই ব্যক্তি যে যোগীর মঠে হামলা করেছিল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত আহমেদ মুর্তজা আব্বাসিকে নিয়ে বিভিন্নরকম দাবি উঠছে। পাশাপাশি, আহমেদ মুর্তজা আব্বাসি সম্পর্কিত একাধিক তথ্যও সামনে এসেছে। অভিযুক্ত আব্বাসি গোরক্ষপুরের সিভিল লাইন এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

আহমেদ মুর্তজা আব্বাসি ২০১৫ সালে আইআইটি বোম্বে থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন। ডিগ্রি শেষ করার পরই তিনি দু’টি বড় কোম্পানিতে চাকরিও করেন। ২০১৫ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর, প্রথমে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজে এবং পরে ESSAR পেট্রোকেমিক্যালসে কাজ করেন আব্বাসি।

২০১৭ সাল থেকে মানসিক অবস্থা ভালো নেই তাঁর:

জানা গিয়েছে যে, আহমেদ মুর্তজা আব্বাসিকে অনেক চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা করানো হয়েছে। তিনি মুম্বাইতেই থাকতেন। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎও বিগত কয়েক বছর ধরে কমিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মুর্তজা আব্বাসির বাবা মোহাম্মদ মুনির একাধিক ফাইন্যান্স কোম্পানিতে আইনি উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও, আব্বাসির কাকা গোরক্ষপুরের একজন বড় ডাক্তার তথা আব্বাসী হাসপাতালের মালিক।

পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত মুর্তজা আব্বাসির বিয়ে প্রথমে কথাবার্তা হওয়ার পরেও ভেঙে যায়। পরে অন্য মহিলাকে বিয়ে করলেও তিনি তাঁকে ছেড়ে চলে যান। এমতাবস্থায়, অভিযুক্ত আব্বাসীকে আহমেদাবাদ সহ একাধিক বড় শহরে চিকিৎসা করানো হয়েছে। আপাতত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জেরে অনুমান করা হচ্ছে যে, ইউটিউবের মাধ্যমে তিনি উগ্রবাদী হয়ে উঠেছেন।

সিসিটিভি ফুটেজও সামনে এসেছে:
এরই মধ্যে মুর্তজা আব্বাসির হামলার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। এই ভিডিওতে তাঁকে সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর হামলা করতে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরের গেটে নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার জেরে স্থানীয় লোকজন মুর্তজা আব্বাসিকে ধরার চেষ্টা করলে তিনি “আল্লাহ-হু-আকবর” স্লোগান দেন।

এই প্রসঙ্গে মন্দিরের গেটের সামনে একটি খেলনার দোকানের মালিক জওহরলাল জানিয়েছেন যে, মুর্তজা আব্বাসি পুলিশকর্মীদের আহত করার সাথে সাথে প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখনই আব্বাসি মন্দিরের দিকে ছুটতে থাকেন এবং পাথর ছুড়তে থাকেন। স্থানীয় লোকজনও যখন পাথর ছুড়ে আব্বাসির হাত থেকে ধারালো অস্ত্র ছুড়ে ফেলে তাঁকে ধরতে সক্ষম হন সেই সময় মুর্তজা আব্বাসি “আল্লাহ-হু-আকবর” স্লোগান দিচ্ছিলেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর