বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডের জেরে শোরগোল গোটা বাংলায়। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্কিত মন্তবের পর আরও বেশি করে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। দোষীদের শাস্তির দাবিতে বুধবার হাঁসখালি থানার সামনে ইন্দ্রনীল খাঁর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চা। সেই সময়ই এক অভূতপূর্ব মানবিকতা ঘটনার সাক্ষী রইল বাংলা।
বিক্ষোভ চলাকালীনই দিশাহারা অবস্থায় সন্তান কোলে নিয়ে ছুটে আসতে দেখা যায় এক মহিলাকে। ততক্ষণে রক্তে ভেসে যাচ্ছে তাঁর কোলের দুধের শিশুটি। জানা যাচ্ছে, হাঁসখালি থানার বাইশমাথা এলাকার বাসিন্দা ওই শিশুকে প্রচণ্ড মারধর করে তারই প্রতিবেশীরা। মাথা ফেটে গিয়ে রক্ত পড়তে থাকে তার। সেই অবস্থাতেই ছেলেকে কোলে করে চিকিৎসার এবং সাহায্যের জন্য পাগলের মতন থানায় ছুটে আসেন মা। মহিলার মুখে তখন একটাই কথা, ‘আমায় বাঁচান, আমাদের বাঁচান…আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলল ওরা।’
কিন্তু ওই অসহায় অবস্থাতেও সাহায্য মেলেনি কোথাও। শেষমেষ শিশুটিকে ওই অবস্থায় দেখে আর কালক্ষেপ করেননি বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি তথা পেশায় চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খাঁ। তড়িঘড়ি থানার একটি ঘরে নিয়ে আসেন শিশুটিকে৷ স্থগিত করে দেওয়া হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি।
এহেন অবস্থাতেও সামনে আসে অব্যবস্থার চরম চিত্র। বারবার থানার কাছে ফার্স্ট এড বক্স চেয়েও মেলে না তা। পরে জানা যায় থানাতে ফার্স্ট এড বক্সই নেই। শেষ পর্যন্ত শিশুটির চিকিৎসা নিজেই শুরু করেন ইন্দ্রনীল। ব্যান্ডেজের অভাবে দলীয় উত্তরীয় দিয়েই বেঁধে দেন ক্ষতস্থান। খানিক চিকিৎসার পর অবশেষে অনেকটাই সুস্থ হয় শিশুটি। আর কোনও বিপদ নেই বলেই জানান ডাক্তার ইন্দ্রনীল খাঁও।
এহেন ঘটনায় কার্যতই ওই বিজেপি নেতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রাজ্যবাসী। রাজনীতির উর্ধ্বে যে মানুষের জীবনই তা প্রমাণ করে নেটিজেনদের মন জিতেছেন এই বিজেপি নেতা। আপাতত সবার মুখে একটাই কথা, ‘ভাগ্যিস তিনি ছিলেন!’