Viral Video- নকশালদের ঘাঁটিতে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে আদিবাসী শিশুদের পড়াচ্ছেন ITBP জওয়ানরা

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: নকশালদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি, ছত্তিশগড়ে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য কোচিং শুরু করেছে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ। ইতিমধ্যেই সেই জওয়ানরা ছত্তিশগড়ের কোন্ডাগাঁও জেলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ ও পিছিয়ে পড়া এলাকার শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।

মূলত, এটি এমন একটি এলাকা যেখানে এখনও নকশালদের প্রভাব রয়েছে। শুধু তাই নয়, এর ফলে বনাঞ্চলের শিশুদের জন্য স্কুলের শিক্ষাটুকু লাভ করাও কার্যত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় ITBP জওয়ানরা ছত্তিশগড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কাজে বিরাট সহযোগিতা করছেন।

২০০ জন শিশু চালিয়ে যাচ্ছে পড়াশোনা:
জানা গিয়েছে ITBP-র, ২৯ তম ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা কোন্ডাগাঁওয়ের প্রত্যন্ত মুঞ্জমেটা, ফারসাগাঁও, ঝাড়া এবং ধাউদাই গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য কোচিং ক্লাস পরিচালনা করছেন। মূলত, জওয়ানরা একলব্য এবং নবোদয় স্কুলের প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করছেন বলেও জানা গিয়েছে। এই প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুরাও যাতে ভবিষ্যতে শিক্ষার মাধ্যমে ভালো জায়গায় পৌঁছতে পারে সেই জন্যই নেওয়া হয়েছে এই মহতী উদ্যোগ।

জওয়ানরাই পড়ুয়াদের পড়াচ্ছেন:
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, প্রায় ২০০ জন স্থানীয় আদিবাসী শিশুদের পড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই আদিবাসী এবং নকশাল প্রভাবিত এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের সন্তানদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কোচিংয়ে পাঠাচ্ছেনও। এছাড়াও, ITBP জওয়ানরা শুধু এই শিশুদের পড়াচ্ছেনই না, পাশাপাশি পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় বই এবং অন্যান্য উপকরণও তাঁদের হাতে তুলে দিয়ে সাহায্য করছেন।

আয়োজন করা হচ্ছে একাধিক কর্মসূচির:
মূলত, ছত্তিশগড়ে বামপন্থী উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ২০০৯ সাল থেকে ITBP মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই বাহিনী বিগত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু নাগরিক কর্মসূচীও সংগঠিত করেছে।

শুধু তাই নয়, ছত্তিশগড়ের স্থানীয় ছাত্রদের আর্চারি, হকি, জুডো এবং অ্যাথলেটিক্সে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের খেলোয়াড় তৈরি করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ITBP। মূলত, ITBP জওয়ানরা নকশাল এলাকায় কঠিন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সাথে ভরসাযোগ্য এক সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন বলেই এই সব সম্ভব হয়েছে।

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X